Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বাঘারপাড়ার কৃষক শরিফুল

ছবি-বিডিটেলিগ্রাফ

বাঘারপাড়া প্রতিনিধি।।

বাঘারপাড়ায় মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খানপুর গ্রামের বাসিন্দা  কৃষক শরিফুল ইসলাম। তিনি নিজের দেড় বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পয়সা জাতের  ২৫০ টি  লাগিয়েছেন। তিনি জানান, মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। লাভবান হলে আরও বেশি জমিতে মাল্টা চাষের ইচ্ছা আছে তার।

উপজেলার খানপুর গ্রামের মৃত দুদু বিশ্বাসের ছেলে এলাকার কৃষক শরিফুল ইসলাম । বাবার জমিতে একাধিকবার ফসল উৎপাদন করলেও লাভের মুখ দেখেননি। শরিফুল ইসলাম ইতিপূর্বে ধান, পাট, গম ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করেছেন । কিন্তু লোকসানের কারণে সফল হতে পারেননি।

জানা যায়, শরিফুল ইসলাম জানতে পারেন মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। তখন তিনি উদ্যোগ নেন মাল্টা চাষ করার। প্রথমেই২৫০ টি চারা গাছ দিয়ে বাগান শুরু করেছেন। বর্তমানে তার সমস্ত গাছে ফুল ফুটে মাল্টা ধরতে শুরু করেছে।

মাল্টার পাশাপাশি সাথী ফসল হিসাবে পেয়ারা, মরিচ,পেঁপে ও সবজি চাষ করে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন তিনি। বর্তমানে বাগান জুড়ে মাল্টা গাছে ফুলের সমাহার প্রতিটি গাছে অসংখ্য মাল্টা ধরেছে। একই সঙ্গে তার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে।  

বাঘারপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহোল আমীন বলেন, উপজেলায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনিয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এটা দেশী সবুজ জাতের মাল্টা। যদি কোন কৃষক ১ বিঘা জমিতে মাল্টার চাষ করে তবে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে তার ১ লাখ টাকা লাভ হবে। দিন দিন কৃষকরা এ চাষাবাদে ঝুঁকছে। শিক্ষিত বেকার যুবকরা মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে ও অন‍্য পেশার পাশাপাশি মাল্টা চাষ সম্ভব।

নারিকেলবাড়িয়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হবে আর আমাদের দেশ আমদানিকৃত যে অর্থটা ব‍্যয় করে সেটার থেকে রেহাই পাবে এবং দেশ আস্তে আস্তে সবুজ মাল্টা চাষে সফল হবে।

Exit mobile version