Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

দেবহাটায় ধর্ষণের শিকার যুবতী দশ মাসের অন্ত:স্বত্তা

দেবহাটা (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি।।

দেবহাটায় দুই নরপশুর লালসার শিকার হয়ে এক যুবতী অন্ত:স্বত্তা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে তার সম্ভাব্য সন্তানের দায় কে নিবে?
ঘটনাটি ঘটেছে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের এক গ্রামে।

ভুক্তভোগী যুবতী সাংবাদিকদের বলেন, আনুমানিক দশ মাস আগে খালার বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যার সময় দক্ষিণ কোমরপুর গ্রামের রউফ সরদারের ছেলে হাসান (২৮) ও একই এলাকার হবিবার সরদারের ছেলে লিটন (২৮) আমাকে দক্ষিণ কোমরপুর রাস্তার বালি গাদার আড়ালে নিয়ে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করে। এ ব্যাপারে তারা কাউকে কিছু না বলার জন্য আমাকে ভয় দেখায়। বর্তমানে আমি দশ মাসের অন্ত:স্বত্তা। আমার অন্ত:স্বত্তার জন্য ওই দুই জনের যেকোন একজন দায়ী।

এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা জানান, আমার মেয়ে ছোট বেলা থেকে একটু বোকা টাইপের (কোলে হাবলা)। এই সমস্ত ঘটনা আমরা কিছুই জানতাম না।গেল রমজানে মেয়ের শারিরীক পরিবর্তন দেখে আমরা তার অন্ত:স্বত্তার বিষয়টি জানতে পারি, তখন ঘটনা সম্পর্কে মেয়ের কাছে জানতে চাইলে সে হাসান ও লিটনের নাম বলে। আমি তাৎক্ষণিক কোন উপায় না পেয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করি।

মেয়েটির বাবা আরও বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা: সুতপা চ্যাটার্জী ১১( মে) আমার মেয়ের সম্ভাব্য ডেলিভারীর তারিখ সম্বলিত রিপোর্ট প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে মেয়ের ওই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি, মেয়েটি অসহায়। যারা এই অপরাধের সাথে জড়িত আমি তাদের সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।

ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন হিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যেহেতু ঘটনার জন্য দুই জনের নাম এসেছে, বাচ্চা ডেলিভারীর পরে ডিএনএ টেস্ট করে প্রকৃত দোষী নির্ধারণ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
অভিযুক্ত হাসানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ডিএনএ টেস্ট করে যদি আমি দোষী হই তাহলে মেনে নেব। অভিযুক্ত লিটনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার বাবা জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি তবে আমার ছেলে জানিয়েছে সে কিছু জানেনা।

এলাকাবাসী প্রশাসনকে স্বপ্রদোনিত হয়ে এই অসহায় পরিবারটির পাশে সাহায্যের হাত বাড়ানোসহ দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।

Exit mobile version