মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ বাগেরহাট প্রতিনিধি।। সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের তিন দিনের সময় বেঁধে দেয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী বাগেরহাটের শরণখোলায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী। এসময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৩টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ২টি ডেন্টাল ক্লিনিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২৯ মে রবিবার দুপুরে উপজেলার রায়েন্দা বাজার হাসপাতাল রোডের মক্কা টাওয়ারে অবস্থিত মদিনা ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের মালিক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল এসিট্যান্ট আসলাম হোসেন নিজের নামের পূর্বে ডাক্তার ব্যবহার করে চিকিৎসা সহ বিভিন্ন ধরনের রোগী দেখা ও বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষার দায়ে ৪০ হাজার, পদ্মা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসানের বৈধতা না থাকায় ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার, উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারে আল মদিনা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চিকিৎসক আমির হোসেনের বৈধতা না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ।
এছাড়া রায়েন্দা বাজার পাঁচরাস্তার মোড়ে মুক্তা ডেন্টাল ক্লিনিকের মালিক আবু সালেহ ও তার স্ত্রী রাহিমা আকতার ডেন্টাল চিকিৎসক হিসাবে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এবং নাকের পলিপাস, পাইলস সহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দাঁত তোলা, রুট ক্যানেল সহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা ও হাসি ডেন্টাল ক্লিনিকের মালিক নাসির উদ্দিন ও হাসি আক্তারের ডেন্টাল চিকিৎসক হিসাবে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস, ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম ফয়সাল আহমেদ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৩টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ২টি ডেন্টাল ক্লিনিককে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া একটি ক্লিনিক ও কয়েকটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে বৈধ কাগজপত্র প্রস্তুত করার আগ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।