নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত এবং আরও অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে খৈয়াছড়া এলাকায় একটি রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জন্য মাইক্রোবাস চালক কেই দায়ী করছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।বলা হচ্ছে ব্যারিকেড ও গেটম্যানের লাল পতাকা উপেক্ষা করে লাইনে তুলে দেয়ায় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৪ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মাইক্রোবাসের যাত্রী ইমন জানান, ‘মাইক্রোবাসে আমরা সবাই গল্প-আড্ডায় ফিরছিলাম। ক্রসিংয়ে কোনো ব্যারিকেড ছিলো না। সেখানে গেটম্যানও ছিলেন না। মাইক্রোবাস যখন একেবারে লাইনের ওপর উঠে যায়, ঠিক তখন খুব জোরে ট্রেনের হুইসেল শুনতে পাই। মুহূর্তেই ট্রেন আমাদের মাইক্রোবাসে ধাক্কা দেয়। এরপর অনেক দূর পর্যন্ত ঠেলে নিয়ে যায়।’ ঢাকা পোস্ট
তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আমরা খৈয়াছড়ায় গিয়েছিলাম। দুপুরে ফিরে আসছিলাম। মাইক্রোবাসে আরএনজে কোচিং সেন্টারের ১৬ জন ছিলাম। এরমধ্যে ১২ জন শিক্ষার্থী এবং চারজন শিক্ষক ছিলেন। বাকি দুজনের মধ্যে একজন চালক, আরেকজন চালকের সহকরী ছিলেন। কাদের কী অবস্থা এখনো স্পষ্ট কিছুই জানি না।’
ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যাওয়া মাইক্রোবাসটিকে বেশ খানিকটা পথ ছেঁচড়ে নিয়ে থেমে যায় ট্রেনটি।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন জানান, কর্তৃপক্ষ শুরুতে মাইক্রোবাসের চালক ‘দায়ী’ দাবি করলেও বিকেল ৬টার দিকে গেটম্যান সাদ্দামকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
এছাড়াও ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. আনছার আলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- রেলের বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আবদুল হামিদ, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (লোকো) জাহিদ হাসান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট রেজানুর রহমান ও বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার (ডিএমও) মো. আনোয়ার হোসেন।