Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

শরণখোলায় স্কুলের কর্মচারী নিয়োগে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্ব চরমে

মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ বাগেরহাট প্রতিনিধি।।

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বিকে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তিনজন কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে চরম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪আগস্ট) শরণখোলা প্রেসক্লাবে দুই পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খান মতিয়ার রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া গত ২৯ জুলাই ঈদুল আযহার ছুটির মধ্যে গোপনে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, একজন নৈশপ্রহরী ও একজন নিরপত্তাকর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) কমিটির সভায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মীর নজরুল ইসলাম ও কমিটির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন উত্তেজিত হয়ে তার উপর চড়াও হয়।  মতি খানের অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি যোগসাযোশে তিনজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন করেছেন। 

অপর দিকে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে বিকে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর নজরুল ইসলাম ও সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমান খান বিদ্যালয়টির প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। তার সময়ে শিক্ষক কর্মচরী নিয়োগে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান নিয়োগে তার মাদকাসক্ত পুত্র মাসুদ ও ভাইয়ের স্ত্রী আরিফাকে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। কমিটির সভায় মতিখানের ওই প্রস্তাবে অপারগতা প্রকাশ করে নিরেপক্ষ নিয়োগ দেয়ার কথা জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। একপর্যায়ে তার মাদকাসক্ত পুত্র মাসুদ তার সহযোগীদের নিয়ে সভাকক্ষে প্রবেশ করে বিভিন্ন গালাগালসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সভা পন্ড করার চেষ্টা চালায়। মূলত তার পুত্র ও ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি বেসামাল হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের কাল্পনিক অভিযোগ দিচ্ছেন। 

সংবাদ সম্মেলনের তারা আরো জানান, বিএনপি ক্ষমতাসিন থাকা অবস্থায় মতিয়ার রহমান খান স্কুলটিকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যাবহার করেছেন। স্কুলের নামের উন্নয়নমূলক বরাদ্দের টাকা কাজ না করে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আর ফেরৎ দেননি তিনি। তার বাড়ির পাশে স্কুটির অবস্থান হওয়ায় তিনি আগের মতো আধিপাত্য বিস্তার করে দলীয় কর্মকান্ড চালাতে চান। পূর্বের ন্যায় নিয়োগ বানিজ্য ও স্কুলটিকে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী চালাতে না পেরে তিনি বেসামাল আচারন করছেন। তার উত্তেজিত আচারন ও হুমকির বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হবে বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্য, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ ও খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version