Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

শ্যামনগরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-৪

শ্যামনগর প্রতিনিধি।। সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে ইট ভাটায় কাজের পাওনা টাকা কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন । এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আহতরা শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী আব্দুর রহিম বক্স মোড়ল এর পুত্র শাহজালাল (৩০) ইট ভাটার সর্দার। অন্যদিকে আসামীগন ইট ভাটার শ্রমিক। সরদার আর শ্রমিক হওয়ায় টাকা-পয়সা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। যা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে মিমাংসা হয়। কিন্তুু শ্রমিকরা শাহজালাল এর পরিবারকে বিভিন্ন সময় খুন, জখম ও মারপিট এর হুমকি দিয়ে আসছিলো। হঠাৎ ৩রা আগস্ট বুধবার দুপুর আনুমানিক ১ টার সময় শাহজালাল নিজ বাড়ি হতে হাসেম এর বাড়িতে দুধ আনতে যাওয়ার পথে মোশাররফ হোসেনের বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার উপরে পৌঁছালে আসামিরা তার পথ আটকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এনিয়ে শাহজালাল প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারপিট শুরু করে। শাহজালাল জীবন বাঁচাতে চিৎকার দিলে তার স্ত্রী ও দুই ভাবি এসে ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এতে একজনের মাথা ফেঁটে যায়। দূর্বৃত্তরা এসময় তাদের পরনের কাপড়-চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীতাহানি ঘটায়। এর পরে তারা আবার হুমকী দিয়ে বলে যায়, এ ব্যাপারে কোথাও কোনো মামলা মোকদ্দমা করলে পথে-ঘাটে তোদেরকে বেঁধে হাত পা ভেঙ্গে ফেলে দেবো।

এলাকাবাসীর তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমান চিকিৎসাধীন আছে।

আহতরা হলেন গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের মৃত নুরালী মোড়লের ছেলে মোঃ মোশারাফ হোসেন (৪৮) মাছুম বিল্লাহ স্ত্রী নাজমা খাতুন (৩০) গোলাম মোস্তফার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩৫) মোশারাফ হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ আসমা খাতুন(২৮)।

অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের মোঃ বাসার মোড়লের ছেলে মোঃ মহিবুল্লাহ, আবদুল্লাহ মোড়ল, হবি মোড়ল, মৃত মোসলেম মোড়লের ছেলে সালাম মোড়ল, মোঃ সালাম মোড়লের ছেলে মোখলেছুর মোড়ল, সালাম মোড়লের ছেলে মোঃ সাঈদ মোড়ল ও মৃতু মোসলেম মোড়লের ছেলে মোঃ বাসার মোড়ল সহ ৪/৫ জন।

এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version