ডেস্ক নিউজ।
খুলনা নগরের দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজের ২৯ দিন পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রহিমা বেগমকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুদ্দুস মোল্যার পরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর পুলিশ বলছে, তিনি নিজেই স্বেচ্ছায় ‘আত্মগোপনে’ ছিলেন। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে আত্মগোপন করেছিলেন রহিমা। বিষয়টি জানতেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা। তবে রহিমা বেগমকে খুঁজে পাওয়ার পর তার মেয়েদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মামলায় গ্রেফতার হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন তারা। প্রথম আলো
রোববার গণমাধ্যমকে হেলাল শরীফের স্ত্রী মনিরা আক্তার জানান, মরিয়ম মান্নানের সৎভাইয়ের কাছ থেকে ২০১৯ সালে জমি কিনেছিলাম। কিন্তু সেই জমির দখল তারা দেয়নি। এ জন্য সেখানকার স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম। তবে ওই পক্ষ এগোয়নি। বরং আমাদের নামে মানহানি মামলাও করেছিল। সেই মামলায় আমার স্বামীসহ পাঁচজন আসামি ছিলেন। সবাই আগাম জামিন নেন। পরে সেই পাঁচজনের নামে অপহরণ মামলা করা হয়েছে। আগের মামলায় জামিন হওয়ার পরই নতুন করে ফাঁসানোর জন্য তারা অপহরণের ঘটনা সাজায়। রহিমা নিজে আত্মগোপন করেছিলেন, এটা এখন পরিষ্কার বলে মনে করেন মনিরা আক্তার।
এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে ১২ দিন আগে উদ্ধার করা এক নারীর মরদেহকে রহিমা বেগমের বলে দাবি করেন তার মেয়েরা। এদিন রাত পৌনে ১২টার দিকে মরিয়ম মান্নান ফেসবুক এক পোস্টে বলেন, ‘আমার মায়ের লাশ পেয়েছি আমি এই মাত্র।’ আমাদের সময়ডটকম