Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

এবার যুক্তরাজ্যে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর এখন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট।

 লিস ট্রাস টোরি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। লিস ট্রাস সরকারী ব্যয় হ্রাস না করে ট্যাক্স হ্রাস ও প্রবিধান সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলীয় এমপিদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। 
সুনাক (৪২) সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, অতিরিক্ত ঋণের মাধ্যমে প্রস্তাব গুলোতে অর্থায়ন করার জন্য তার পরিকল্পনা বেপরোয়া এবং কয়েক দশকের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বাজারের আস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে।
এখন যেহেতু সুনাকের বক্তব্য সঠিক প্রমাণিত হয়েছে,  ট্রাসের নাটকীয় ঘোষণার পর সুনাক এখন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাছাইয়ে এগিয়ে রয়েছেন। 

জনসনকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবেন-যদিও খুব কমই ভেবেছিলেন এতো দ্রুত সম্ভব হতে পারে। ট্রাসের পদত্যাগের পর টাইমস রিপোর্ট করেছে যে, তিনি ভোটের মাধ্যমে হওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
জনসন ব্রেক্সিটের জন্য কনজারভেটিভ এমপি এবং দলের একটি অংশের কাছে জনপ্রিয়। কিন্তু বৃহত্তর ভোটারদের মধ্যে তার ব্র্যান্ডটি কলঙ্কিত হওয়ায় তিন বছরের মেয়াদে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বেন ওয়ালেস প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
এর আগে টোরি নেতা নির্বাচনে ঋষি সুনাক ছিলেন লিস ট্রাসের প্রতিদ্ব›দ্ধী। তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য পেনি মর্ডান্ট (৪৯) পঞ্চম দফা ভোটেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। আর বেনওয়ালেস গতবারের টোরি নেতা নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। 

Exit mobile version