Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

পর্ণতারকা কে অর্থ দেয়ার ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প দোষী

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সম্ভাব্য গোপন অর্থ প্রদানের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ম্যানহাটান জেলা আটর্নির দপ্তর বিষয়টি নিয়ে কয়েক বছর ধরে তদন্ত করার পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। ফক্স নিউজ, বিবিসি, আল-জাজিরা

ম্যানহাটান জেলা এটর্নি আলভিন ব্রাগ ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্তু ট্রাম্পের গোপন অর্থ লেনদেনের বিষয় তদন্ত করেন। ফক্স নিউজ ডিজিটাল এতথ্য জানতে পেরেছে যে, এসব অর্থ যাদের দেওয়া হয়েছিলো তাদের মধ্যে পর্ণ তারকাকে স্টর্মি ডেনিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডোগালকে দেড় লাখ ডলার প্রদান করা হয়।

২০১৮ সালে ফক্স নিউজ ম্যাকডোগাল ও ডেনিয়েলসকে গোপনে অর্থ দেওয়ার বিষয়টি উম্মোচন ও খবর প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নির নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট এবং ফেডারেল নির্বাচন কমিশন এসব অর্থ দানের বিষয় তদন্ত করে। সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টএর কৌসুলিরা স্টর্মি ডেনিয়েলসকে অর্থ দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও কোহেন বলেছিলেন যে, তার সাথে চুক্তির অংশ হিসেবে এ অর্থ দেয়া হয়েছিল।

ফেডারেল নির্বাচন কমিশনও বিষয়টি তদন্ত করে ২০২১ সালে। বৃহস্পতিবার ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট এটর্নির অফিসের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় আমরা ট্রাম্পের ম্যানহাটান ডিএ’র অফিসে আত্মসম্পর্নের বিষয় সমন্বয় করতে তার আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করেছি। যাতে সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারে যা এখন স্থগিত রয়েছে। এবং অভিযোগ দায়েরের তারিখ ধার্য হলে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।’

ট্রাম্প এ অভিযোগ আনার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। ‘তাকে আটকানোর’ ‘ঘোরের’ মধ্যে থাকার জন্য ট্রাম্প এটর্নি ব্রাগের সমালোচনা করেন। তিনি হুঁশিয়ার করে দেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা ‘বুমেরাং’ হতে পারে।

ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি হচ্ছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক নিপীড়ন ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ।’ ট্রাম্প বলেন, ‘যখন আমি ট্রাম্প টাওয়ারের সোনালী সিড়ি ভেঙ্গে নেমে আসি এবং এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে আপনাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার শপথ নেওয়ার আগে দেশের কঠোর শ্রমদানকারী নারী-পুরুষ দুশমন কট্টরপন্থী বাম ডেমোক্র্যাটরা ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন আন্দোলন’কে ধ্বংস করতে আমার দোষ অন্বেষনে মরিয়া হয়ে উঠে।

ট্রাম্প বলেন, এখন ডেমোক্র্যাটরা তাদের বদ্ধমূল ধারণার বশবতি হয়ে ‘ট্রাম্পকে আটকাতে’ মিথ্যা, প্রতারণা ও চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এখন তারা যা করছে তা অচিন্তনীয় একজন নিরাপরাধ মানুষকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করছে যা নির্বাচনে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ। আমাদের দেশের ইতিহাসে যা কখনো ঘটেনি।’

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ডেমোক্র্যাটরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শাস্তি দিতে আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।’ ট্রাম্পের আইনজীবী আলিনা হাব্বা বলেছেন, ‘আমেরিকার বিচার ব্যবস্থা ও ইতিহাসের দূর্নীতি ও বিকৃত সংস্করণের শিকার হয়েছেন ট্রাম্প।আমাদের সময় ডটকম

Exit mobile version