Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

মির্জাগঞ্জে বিএনপি ও আ.লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন – সংঘর্ষ আহত -৩

ছবি-বিডিটেলিগ্রাফ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কেন্দ্র ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে
বিএনপি। অপরদিকে শান্তি সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, গাড়ী বহর নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে আসার পথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়।

শনিবার ( ৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় পৃথক স্থানে এই কর্মসূচি পালন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট প্রাঙ্গণে বিএনপি ও উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সতর্ক অবস্থানে ছিলো থানা পুলিশ।

উপজেলা বিএনপির আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাবুদ্দিন নান্নুর সভাপতিত্বে ও
সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন ফরাজির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন,পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ (পান্না), দেলোয়ার হোসেন নান্নু প্রমুখ।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন ফরাজির অভিযোগ -কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়ী বহর নিয়ে কর্মসূচিতে আসার সময় উপজেলার সুবিদখালী বাজার সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় এলাকায় বসে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ। এতে উপজেলা পরিষদের মহিলা
ভাইস-চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল মৃধা, সদস্য আল আমিন আহত হয়।

অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জুয়েল বেপারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন মৃধা, সহ-সভাপতি প্রফেসর ইউনুস আলী সরদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক খান প্রমুখ।

গাড়ী বহরে হামলার বিষয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জুয়েল বেপারী বলেন, বিএনপির গাড়ী বহরে আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো হামলা করেনি। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হতে পারে। শুধু শুধু আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করছেন তারা।

মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই দলই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। এসময় সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সমাবেশ শেষে যাওয়ার সময় একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণে আনি। আর হামলার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেননি।

Exit mobile version