Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

মির্জাগঞ্জে কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভরপুর কোর্টপাড়া খাস পুকুর

মির্জাগঞ্জ কোর্ট খাসপুকুর-বিডিটেলিগ্রাফ

ইলিয়াস হোসাইন। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটা একটা পুকুর। মনে হচ্ছে এক বিশাল ক্ষেত, যেখানে চাষ করা হয়েছে কচুরিপানা। অথচ কিছু বছর পূর্বে এই পুকুরে পানি থই থই করতো। পুকুরের এই স্বচ্ছ পানি স্থানীয়রা গোসলসহ গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার ও মুসল্লিরা অজু করতেন। কিন্তু মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংলগ্ন সরকারি সেই জনগুরুত্বপুর্ণ খাস পুকুরটি কয়েক বছর ধরে কচুরিপানায় ভরে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে রয়েছে।

এ ছাড়া স্থানীয় দোকানদার ও বাসিন্দারা তাদের ময়লা রাখার ডাস্টবিন তৈরি করছে পুকরটিকে। এতে অর্ধশত বছরের ঐতিহ্যবাহী পুকুরটির পানি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে পানি থেকে। আবর্জনার কারণে ডেঙ্গু মশাসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে পুকুরটি। পুকুরটির সৌন্দর্য ও অস্তিত্ব রক্ষায় এখনই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরজমিন দেখা যায়, পুকুরের পূর্ব পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। চারদিকে বসতবাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কচুরিপানা ও আগাছায় ভরে আছে। বাসাবাড়ি, হোটেল, দোকানপাটের ময়লা-আবর্জনা, কচুরিপানার দখলে পুকুরটি। আবর্জনা ও কচুরিপানায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় পুকুরের দূষিত ও ময়লা-আবর্জনাপূর্ণ পানি গন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কচুরিপানা,ময়লা-আবর্জনা ও লতাপাতায় ভরে গেছে পুকুরটি। হোটেল ও দোকানপাটের আবর্জনা ফেলার কারণে পুকুরটি দূষিত হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই অস্তিত্ব হারাবে ঐতিহ্যবাহী এই পুকুরটি। কিন্তু পুকুরটি রক্ষায় কারও কোনো উদ্যোগ নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেনমং বলেন, বদ্ধ জলাশয়ে ডেঙ্গু মশা জন্মায়। এ ছাড়াও দূষিত পানি থেকে বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়ায়।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান জানান, পুকুরটি পরিষ্কার করার জন্য সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দেউলী সুবিদখালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন খান বলেন, শিগগিরই পুকুরটি পরিষ্কারের কাজ শুরু করা হবে।

Exit mobile version