Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

অভয়নগরে খেজুরের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা, ডিসেম্বরে গুড় উৎপাদন

তারিম আহমেদ ইমন, (যশোর) প্রতিনিধি। যশোরের যশ খেজুরের রস। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড় পাটালির উৎসব, বাড়িতে বাড়িতে চলবে খেজুরের রস জ্বালিয়ে পিঠাপায়েস সহ হরেক রকমের খাবারের সমাহার। মৌসুম শুরু হতে না হতেই গাছিরা দড়ি, দা,ঠুঙ্গি সহ গাছ কাটার প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে গাছ কাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রস সংগ্রহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে খেজুর গাছের আগায় তোলা দেওয়ার কাজ চলছে। গাছি দা দিয়ে খেজুর গাছের মাথার সোনালি অংশ বের করা হয়। যাকে যশোরের ভাষায় বলা হয় গাছ তোলা।

শুক্রবার সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৮’শত গাছীরা গাছতোলা শুরু করেছেন। ৮ থেকে ১৪ দিন পর নোলন স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস আহরণের মূল কাজ। এর কিছু দিন পরই গাছে দেওয়া হবে মাটির পাতিল। সংগ্রহ করা হবে মিষ্টি খেজুরের রস। এই মৌসুমে খেজুরের রস দিয়ে গ্রামিন জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। শীত যত বাড়বে, খেজুর রসের মিষ্টি ও ততো বাড়বে। শীতের সবচেয়ে বড় আকর্ষন দিনের শুরুতে খেজুরের রস, সন্ধার রস ও খেজুরের গুড় পাটালি। পিঠা ও পায়েস তৈরিতে আবহমান কাল থেকে খেজুরের গুড় ওতপ্রত ভাবে জড়িত।

উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামের তৈবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে খেজুরের রস সংগ্রহ করি। আমাদের যশোরের খেজুরের রস খুব নাম করা। শহর থেকে আমার রস ও গুড় কিনতে অনেক মানুষ ছুটে আসে। এতে করে আমার অনেক লাভ হয়। উপজেলার একতারপুর গ্রামের নজরুল ঢালী বলেন, গত বছর আমি ৩০০ খেজুরের গাছ কেটে ছিলাম। অনেক লাভ হয়েছিলো আমার। এই জন্য এই বছর আরো বেশি গাছ কাটবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, অভয়নগর উপজেলায় ৩৩ হাজার রস আহরণ কারি খেজুরের গাছ রয়েছে। যা থেকে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন হবে। এ ব্যাপারে আমরা গাছিদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

Exit mobile version