Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের এক দুরভিসন্ধির কবলে হাসনাত

মোঃ মাসুম বিল্লাহ ।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। কিন্তু আওয়ামী লীগ কি সত্যি নিষিদ্ধের কোন কথা বলেছে? না, বলিনি। বরং বিচার পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ বিষয়টি এই সরকারের একটা কৌশলী সিদ্ধান্ত , যেন ধরি মাছ না ছুই পানি। যে সংবিধানের অধীনে তারা শপথ নিয়েছে, সেই সংবিধানে এই সরকার অবৈধ। এজন্য সরকার নিজের কাঁধে কোন দোষ তুলে নিতে চাচ্ছে না। এর মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে। তবে হ্যাঁ, এটা একটা বড় অর্জন জুলাইয়ের বিপ্লবীদের জন্য। আর এ বিপ্লবের মহানায়ক হাসনাত তার দৃঢ়তা, স্বাধীনচেতা মনোভাব, আপসহীন নেতৃত্ব, দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আলো ছড়াবে সহস্র বছর। হাসনাত ইজ এ অন ম্যান আর্মি। নিজেই যেন একটা বাহিনি। তার ডাকে সাধারণ জনতার আবার নেমে এসেছে রাজপথে। ছেলেটি সত্যবাদী সরল। তাই রাজনীতিবিদদের মতো কৌশলী বক্তব্যে অভ্যস্ত নয়। ফলে এদেশের মানুষের মনের মনি কোঠায় অম্লান থাকবে সারাজীবন।  দেশ প্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টাত। সে একবিংশ শতাব্দীর সূর্যসেন, তিতুমীর, ক্ষুদিরাম। নতুন বাংলাদেশ হাসনাত একটা ইতিহাস। নতুন বাংলাদেশ সকল দুরভিসন্ধি মুক্ত হলে এদের নেতৃত্ব বাংলাদেশ বিশ্ব মঞ্চে একসময় নেতৃত্ব দেবে।

বাংলাদেশের ভাগ্য আকাশে চাঁদ জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু তার পিছনে একখণ্ড কালো মেঘ সব গ্রাস করার জন্য জড়ো হয়েছে। রাজনীতি এই খেলায় হাসনাত আনাড়ি তবু প্রবল জেদি। তার জেদ বাংলাদেশের প্রাণ। তাই সংবিধান বা রাষ্ট্র যন্ত্রের সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে এ যুদ্ধে হাসনাতকে জয়ী হতে হবে। এ জন্য সুনিদৃষ্ট সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান অব্যাহত রাখতে হবে। প্রথম বিপ্লব ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। আর তা না হলে এই বিপ্লবের বীরদের ভাগ্যাকাশে নেমে আসবে দুর্যোগের কাল মেঘ। জুলাইয়ের যোদ্ধাদের দায়মুক্তি তখনি সম্ভব যখন এদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ চিরতরে দূর হবে।

Exit mobile version