ডেস্ক নিউজ।
ভারতের আসাম রাজ্যের বাসিন্দা ১৪ জনকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। মঙ্গলবার ভোরে ১০৬৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের ‘নো ম্যান্স ল্যান্ড’ এলাকা দিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বড়াইবাড়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছে এবং তাঁরা কোন দেশের নাগরিক তা যাচাই–বাছাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী রয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, তাঁরা আসামের বাসিন্দা এবং বিএসএফ তাঁদের হাতে বাংলাদেশি ২০০ টাকা, একটি পানির বোতল ও খাবারের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে জোর করে সীমান্ত পার করে পাঠায়। কেউ রাজি না হলে নির্যাতন চালানো হয়। তাঁদের একজন, খায়রুল ইসলাম, নিজেকে আসামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে পরিচয় দেন এবং জানান, তাঁকে আগে গোয়ালপাড়ার মাটিয়া ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল।
এ ঘটনা ঘিরে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, পুশ ইন ঠেকাতে বিজিবি ও এলাকাবাসী সীমান্তে অবস্থান নিলে বিএসএফ চারটি গুলি ছোড়ে। একই সময়ে ভারতের আকাশসীমা থেকে বাংলাদেশের আকাশে ড্রোন ওড়ানো হয় এবং সীমান্তে ভারী অস্ত্র তাক করে ভয় দেখানো হয়।
তবে বিজিবি গুলির বিষয়টি অস্বীকার করলেও উত্তেজনার কথা স্বীকার করেছে। পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হলেও বিএসএফ তাতে সাড়া দেয়নি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম–৪ আসনের সাবেক এমপি রুহুল আমীন বলেন, “বিএসএফ জোর করে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী ও বিজিবি প্রতিবাদ করলে রাবার বুলেট ছোড়ে ও ভয় দেখানোর চেষ্টা করে।”
বর্তমানে আটক ব্যক্তিরা বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পে রয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।