ডেস্ক নিউজ।
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি লন্ডনে এক সফরে এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “সংঘাতের সময় পাকিস্তান কেবল প্রতিরোধেই নয়, শান্তির ক্ষেত্রেও একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।”
বিলাওয়াল জানান, সংঘাত চলাকালে পাকিস্তান ২০টি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে টার্গেট করলেও ছয়টি ভূপাতিত করেছে। তিনি দাবি করেন, এই সংযমই প্রমাণ করে যে পাকিস্তান শান্তি চায়। তবে ভারত যদি পানি, সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর ইস্যুতে আগ্রাসী মনোভাব চালিয়ে যায়, তাহলে তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
সাবেক মন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর সমস্যাই ভারত-পাকিস্তান বিরোধের মূল কেন্দ্রবিন্দু, এবং এর সমাধান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়। তিনি ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের প্রচেষ্টাকে ‘পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে অভিহিত করেন।
বিলাওয়াল যুক্তরাজ্যে চ্যাথাম হাউস ও আন্তর্জাতিক কৌশলগত গবেষণা ইনস্টিটিউটে (IISS) বক্তব্য দেন। প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন হিনা রব্বানী খার, খুররম দস্তগীর, শেরি রেহমানসহ সিনিয়র কূটনীতিকরা। সফরের অংশ হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রেও সফর করেছেন এবং ৫০টিরও বেশি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
পাকিস্তান প্রতিনিধি দল যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য মন্ত্রী হামিশ ফ্যালকনারের সাথে বৈঠক করে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের সংসদ পরিদর্শন করে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন এমপিদের সামনে।
পেহেলগামের একটি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারতের পাকিস্তানকে দোষারোপেরও জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিলাওয়াল বলেন, “ভারতের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা বরং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছিলাম।”
সাবেক পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিপূর্ণ মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার প্রশংসা করে তিনি আশা করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো আলোচনার মাধ্যমে ভারতকে সমস্যাগুলোর সমাধানে রাজি করাতে সক্ষম হবে।