ডেস্ক নিউজ।
আর্জেন্টিনার সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারের ছয় বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছে। আদালতের এই রায়ের ফলে ৭২ বছর বয়সী এই বামপন্থী রাজনীতিক আর কোনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না, যা কার্যত তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটাল।
বুধবার ঘোষিত রায়ে বলা হয়, কির্চনার প্যাটাগোনিয়ায় সরকারি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২২ সালের একটি রায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, যেখানে অভিযোগ ছিল, শত শত মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প তিনি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী লাজারো বায়েজকে পাইয়ে দেন। এসব প্রকল্পের প্রায় অর্ধেকই অসম্পূর্ণ ছিল।
সুপ্রিম কোর্টে আপিলের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এখন একটি নিম্ন আদালত ঠিক করবে কির্চনারের বয়স বিবেচনায় তাকে গৃহবন্দী রাখা হবে কিনা।
রায়ের পরপরই বুয়েনস আইরেসে কির্চনারের সমর্থকরা শহরজুড়ে রাস্তা অবরোধ করেন। হাজারো সমর্থকের সামনে পেরোনিস্ট পার্টির সদর দপ্তরে দেওয়া এক বক্তব্যে কির্চনার অভিযোগ করেন, তিনি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ‘ডানপন্থী মাফিয়া’ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
“আমরা পালিয়ে যাই না, আমরা পেরোনিস্টরা মুখ ও জীবন বাজি রাখি,” বলেন কির্চনার।
২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কির্চনার সম্প্রতি বুয়েনস আইরেসের প্রাদেশিক নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। তবে আদালতের রায়ে সেই পথ বন্ধ হয়ে যায়।
এক সরকারি সূত্র জানায়, কির্চনার সরে গেলে পেরোনিস্টদের ঐক্য গড়ে উঠতে পারে, তবে বিভাজনের ঝুঁকিও থেকে যায়। দলটি বর্তমানে বিরোধী অবস্থানে থেকে রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে ২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলির বিজয়ের পর।