ডেস্ক নিউজ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আলাদা কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন নেই, কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারা সমর্থন দিয়েই বসিয়েছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা মনে করি, নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আন্দোলনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ আমরাই তো এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের বিষয়টি ১২ দলীয় জোটকে জানানো হয়েছে। “আজকের বৈঠক মূলত আমাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য।”
১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আগে যেমন বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে বৈঠকেও একই কথা বলেছেন—ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে আমরা বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “নির্বাচনের রোডম্যাপ এখনই ঘোষণা দিতে হবে। পাশাপাশি, বিগত সরকারের অন্যায়-অবিচারে যারা জড়িত এবং প্রশাসনের ভেতরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরিয়ে দিতে হবে।”
নজরুল ইসলাম খান জানান, “আমরা চাই যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত, তাদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হোক।”
বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা মনে করছেন, নির্বাচনের পরিবেশ ইতোমধ্যেই প্রস্তুত এবং এখন কেবল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়সূচি ঘোষণা বাকি।