Site icon টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ

পরমাণু চুক্তি না করলে ‘ইরান বোকার মতো কাজ করবে’-ট্রাম্প

ডেস্ক নিউজ।

ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরাইলি হামলার মধ্যে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং শহর ছেড়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ—এমন এক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “তেহরানবাসীদের এখনই শহর ছেড়ে যাওয়া উচিত।”

সোমবার (১৬ জুন) কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণরত অবস্থায় ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, “ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না।” ওইদিন রাতেই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায়, এমনকি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনেও হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।

ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পঞ্চম দিনের মতো চলমান হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যেই ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে।

তেহরানবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় দুপুর থেকে হাজার হাজার মানুষ শহর ছাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যার পর শহরের বিভিন্ন এলাকায় যানজট দেখা যায়। ইসরাইলের হামলায় পশ্চিম ইরানের দুটি মিসাইল ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

এদিকে, ইরানও ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে তেল আবিব ও জেরুসালেমসহ বেশ কয়েকটি শহরে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে।

কানাডায় অবস্থানকালে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, “ইসরাইল ও ইরান শিগগিরই একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমি ইরানকে ৬০ দিন সময় দিয়েছিলাম চুক্তিতে ফিরতে, ৬১তম দিনে কী হয়েছে তা সবাই দেখেছে।”

তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ইসরাইলকে থামানোর জন্য ওয়াশিংটন থেকে একটি ফোনকলই যথেষ্ট।”

যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইসরাইলের অভিযানে সরাসরি অংশ নিচ্ছে না বলে জানায় সিবিএস নিউজ। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেই জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করেন। এই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হবে, তবে সেটি শুধু ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।

বিষয়টি ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও ইসরাইল-ইরান সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।

Exit mobile version