সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরায় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একদিনে পানিতে ডুবে চার শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার কলারোয়া, শ্যামনগর, সদর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
কলারোয়ায় দুই বছরের শিশু ইরফান খাঁ ডোবায় পড়ে মারা যায়। শ্যামনগরে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোর ফয়সাল হোসেন নিখোঁজের একদিন পর মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়। সাতক্ষীরা সদরে ইসমাইল হোসেনের ছোট মেয়ে, আশাশুনিতে মহেন্দ্র নাথ সানার দেড় বছরের মেয়ে ঈশিতা এবং কালিগঞ্জে ১৯ মাস বয়সী লামিসা খাতুন পানিতে পড়ে মারা যায়।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী জানান, একদিনে একাধিক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সাতক্ষীরা জলবায়ু পরিষদের আহ্বায়ক আশেক-ই-এলাহী বলেন, “প্রতিবছর হাজারো মানুষ ডুবে মারা যায়, যাদের বড় অংশই শিশু। সচেতনতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিলে এ মৃত্যুগুলো ঠেকানো সম্ভব।”
সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক দেওয়ান সোহেল রানা মনে করেন, শিশুদের একা বাইরে খেলতে না দেওয়া, পানির ধারে সতর্ক থাকা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ও সিপিআর জানা থাকলে অনেক প্রাণ রক্ষা করা যেত।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশে গড়ে ১৭ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাঁতার শেখানো, ডোবা-পুকুরে বেড়া দেওয়া এবং পরিবার ও সমাজের সচেতনতা বাড়ালেই এই মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব।