বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ করেছে এবং সেখানে মানবিক করিডর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার এই তথ্য জানিয়ে দেশটি বলেছে, ত্রাণ সহায়তার মাধ্যমে তারা দুর্ভিক্ষ ঘটানোর অভিযোগের জবাব দিচ্ছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী টেলিগ্রামে জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ সরবরাহের অংশ হিসেবে আকাশ থেকে একটি চালান ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি, রোববার সকালে নির্দিষ্ট এলাকায় ‘মানবিক বিরতি’ কার্যকর হবে বলে এক্সে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো বলছে, গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দার জন্য আকাশপথে ত্রাণ যথেষ্ট নয়। তারা আরও স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতির আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে ২ মার্চ গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল, যদিও মে মাস থেকে সীমিতভাবে ত্রাণ অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইউএই আবার গাজায় আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যও জর্ডানসহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে এই সংকট মোকাবেলায় কাজ করছে।
এদিকে ইসরায়েলের আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহের ঘোষণার মাঝেই ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের কেউ কেউ ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছাকাছি ছিলেন।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন বলছে, গাজাগামী আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের একটি জাহাজ আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সংস্থাটি দাবি করেছে, জাহাজটির আরোহীদের ‘অপহরণ’ করা হয়েছে এবং ক্যামেরাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গাজায় মানবিক সংকট দিন দিন চরমে পৌঁছাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে চরম অপুষ্টির ব্যাপারে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে ১,২১৯ জনের মৃত্যু হয়। পাল্টা ইসরায়েলি অভিযানে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে এ পর্যন্ত ৫৯,৭৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।