ডেস্ক নিউজ।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ঝটিকা মিছিল বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল হয়, যা গুলশানের দিকে অগ্রসর হয়। পরে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর আগের দিন মিরপুরে দুটি ঝটিকা মিছিল থেকে ১৮ জন আটক করা হয়।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর সংসদ ভবন এলাকায় ছাত্রলীগের মিছিল থেকে এক সাবেক নেতাকে আটক করে পুলিশ। ৫ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও ও ধানমন্ডিতে বিক্ষোভের ঘটনায় কয়েকজন ধরা পড়লেও অনেকেই পালিয়ে যায়। ২ সেপ্টেম্বর বনানীতে ছাত্রলীগের ভোরের মিছিলে কাউকে আটক করা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, শুধু গ্রেপ্তার নয়, শুরুতেই এসব জমায়েত প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে— এত নজরদারির পরও কীভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো প্রকাশ্যে মিছিল করতে পারছে।
গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। পরে চলমান মামলার রায় না আসা পর্যন্ত ১০ মে ২০২৫ সালে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।