মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ , বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলায় তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষার সব ধরনের ফি পরিশোধ করেও প্রবেশ পত্র না পেয়ে পরীক্ষা দিতে পারছেনা তিন শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের এস.এস.সি (ভোকেশনাল) শাখার নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী শরণখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর মুন্সীর পুত্র মোঃ হাফিজুল রহমান, জামাল হাওলাদারের পুত্র মোঃ আব্দুল্লাহ ও মনু মিয়া হাওলাদারের পুত্র মোঃ ইয়াসিন ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ওই কলেজের অফিস সহকারী ওমেশ চন্দ্র বালার নিকট রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ জনপ্রতি এক হাজার টাকা জমা দিলেও তিনি হাফিজুল ও আব্দুল্লাহর রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করলেও ইয়াসিনের নাম রেজিষ্ট্রেশন করেননি।
এছাড়া হাফিজুল ও আব্দুল্লাহ আগামী ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য নবম শ্রেনীর (ভোকঃ) বোর্ড ফাইনাল পরিক্ষায় অংশগ্রহন করার জন্য ফরম পূরণে জনপ্রতি দুই হাজার টাকা দিলেও অফিস সহকারী ওমেশ চন্দ্র বালা উক্ত টাকা আত্মসাৎ করেন।
সম্প্রতি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য অন্যান্য সহপাঠীদের প্রবেশপত্র আসলেও হাফিজুল ও আব্দুল্লাহর প্রবেশপত্র আসেনি।
বিষয়টি তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায়কে অবহিত করলে তিনি ওই শিক্ষার্থীদের আগামী বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার কথা বলেন। অধ্যক্ষের কথা শুনে অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারী ওমেশ চন্দ্র বালা বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা না দেয়ায় এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনি কোন অর্থ গ্রহণ করেননি। বিষয়টি সিনিয়র শিক্ষিকা হাফিজা খানম (হেলেনা) দেখাশুনা করেন।
তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক হাফিজা খানম (হেলেনা) বলেন, ভোকেশনাল শাখার আয়-ব্যয় দীর্ঘদিন ধরে ওমেশ চন্দ্র বালা পরিচালনা করে আসছেন। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনি কোন অর্থ গ্রহণ করেননি।
তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় বলেন, এ ঘটনায় অফিস সহকারী ওমেশ চন্দ্র বালাকে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে এবং তাকে ভোকেশনাল শাখার দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান খাঁন জানান, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক বিধিগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।