ড. আসাদুজ্জামান খান ॥
আজ ৪ জানুয়ারি তেভাগা আন্দোলন দিবস। সামাজিক ন্যায্যতা, কৃষি উৎপাদন ও সুষ্ঠু বণ্টনের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই ছিল তেভাগা আন্দোলনের প্রতীক।
শোষণ,বঞ্চনা, লাঞ্ছনা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই সংঘটিত হয়েছিল এ আন্দোলন। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নে এ দিবসটি পালিত হয়।
‘জান দেবো তো, ধান দেবো না, আধি নাই, তেভাগা চাই’
এ দাবিতে ৭৫ বছর আগে হয়েছিল তেভাগা আন্দোলন। ফসল উৎপাদন ও বণ্টনে দুই-তৃতীয়াংশ দিতে হবে বর্গা চাষীদের, এটাই ছিল তেভাগা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। বর্গাদারদের নিজ উঠানে ধান তোলাকে কেন্দ্র করে ১৯৪৬ সালে তেভাগা আন্দোলন রূপ নেয় সংঘাতে।
যশোর, খুলনা কুষ্টিয়া,রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও জলপাইগুড়িসহ বেশ কিছু স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এ আন্দোলন। জোতদারের লাঠিয়াল বাহিনী ও পুলিশের নিপীড়ন-নির্যাতন বেড়ে যায় বর্গাচাষীদের ওপর।
তেভাগা আন্দোলনে ১৯৪৭ সালের ৪ জানুয়ারি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার তালপুকুর-বাজিতপুর চেন্টু বটতলায় প্রথম শহীদ হন বর্গাচাষী সমির উদ্দীন ও শিবরাম। সেই দিন সংঘর্ষে তীরবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আরেক পুলিশ সদস্য