টানা চার সপ্তাহ ধরে আসা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের একটা সমাধানের পথ ধীরে ধীরে সামনে আসছে। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে শান্তি চুক্তির দিকে বেশ কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে।
ইতোমধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ানের সাথে টেলিফোনে আলাপের সময় নিজের কিছু শর্তও তুলে ধরেছেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টা ইব্রাহিম কালিন থেকে বিবিসি জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের দেয়া শর্তগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। মি. কালিনের মতে, প্রথম চারটি শর্ত মেনে নেয়া ইউক্রেনের জন্য খুব কঠিন কিছু হবে না।
এসবের মধ্যে প্রধান শর্তটি হচ্ছে, ইউক্রেনকে নিজেদের নিরপেক্ষ ভূমিকা মেনে নিতে হবে এবং তারা কখনোই নেটোতে যোগ দেয়ার চেষ্টা করবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এরই মধ্যে এটি মেনে নেয়ার কথাও বলেছেন।
প্রথম ভাগের অন্যান্য শর্তগুলো হচ্ছে- ইউক্রেনকে একটি নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যার মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে তারা রাশিয়ার জন্য কোন হুমকি নয়। ইউক্রেনে রুশ ভাষাকে সুরক্ষা দিতে হবে, এবং দেশটিকে রাশিয়ার ভাষায় ‘ডি-নাজিফিকেশন’ অর্থাৎ নাৎসীমুক্ত করতে হবে।
দ্বিতীয় ভাগের শর্তগুলো তুলনামূলক জটিল। মি. কালিন জানান, ফোন কলে মি. পুতিন বলেছেন কোন সমঝোতায় পৌছানের আগে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট মি. জেলেনস্কির সাথে মুখোমুখি বসতে চান। মি. জেলেনস্কিও এরমধ্যে জানিয়েছেন যে তিনিও রুশ প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
তবে সেই আলোচনার শর্তগুলো নিয়ে খুব পরিষ্কার করে কিছু বলতে চাননি মি. কালিন। তিনি শুধু বলেছেন যে এগুলো মূলত পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল এবং ক্রাইমিয়া সংক্রান্ত।
অন্যদিকে রাশিয়ান বাহিনী ক্রাইমিয়ার দিক থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণে আরও অগ্রসর হয়েছে। তারা কিয়েভকে ঘিরে ফেলে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। তবে শহরটির বড় অংশ বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চল ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণেই আছে।