1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
বিশ্বের মানচিত্রে নতুন একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ২৬ মার্চ - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইসলামে বন্ধুর মর্যাদা ও সঠিক বন্ধু নির্বাচনের গুরুত্ব কক্সবাজার বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সাথে কুকুরের ধাক্কা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেনেই বিচার পরিচালিত হবে: তাজুল এনসিপির সমাবেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিলেন সারজিস মার্চ ফর জাস্টিস অংশ নেয়া  শিক্ষকদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি’র ১০০ আসন চূড়ান্ত, ২০০ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী দেড় হাজার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ খুলছে আজ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন ডিসি নিয়োগের প্রস্তুতি পেকুয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ যুবক আটক গভীর রাতে ১২ প্রহরী জিম্মি, নাটোর চিনিকল থেকে ট্রাকযোগে ডাকাতি

বিশ্বের মানচিত্রে নতুন একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ২৬ মার্চ

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২
  • ৪১৬ জন খবরটি পড়েছেন

বিলাল হোসেন মাহিনী

২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন একটি রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল একটি ভূখন্ড, যার নাম বাংলাদেশ। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়।  বাংলার সবুজ জমিনে রক্তিম সূর্যখচিত মানচিত্রের এ দেশটির স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী এবার (২৬ মার্চ-২০২২)।

অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা শুরু করেছিলো, যার মধ্যমে তারা ১৯৭১ এর মার্চ ও এর পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিলো। এই গণহত্যা ছিলো পশ্চিম পাকিস্তানি শাষকদের আদেশে পরিচালিত, যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত অপারেশন এর পরবর্তি অনুষঙ্গ। অপারেশনটির আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬ মার্চ এর মধ্যে সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়।

ঘোষণাটি নিম্নরূপ:-
-অনুবাদ: এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরূদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক। (সুত্র : উইকিপিডিয়া) ২৬শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক’জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম. এ. হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি প্রচার করেন। পরে ২৭শে মার্চ  তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

ইতিহাসে একাত্তরের মার্চ মাস :-
  ১ মার্চ : ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদ-এর অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। শেখ মুজিব একে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে ৩রা মার্চ দেশের সর্বত্র হরতাল পালনের আহ্বান করেন। ২ মার্চ : শেখ মুজিবুর রহমান সংসদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত না-মানার ঘোষণা দিয়ে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে গণজমায়েতের আহ্বান জানান। ঢাকায় হরতাল পালিত হয় পূর্ব ঘোষণা অনুসারে। এ সময় ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্রের খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন জোরদার করার পরামর্শ দিলেন। সঙ্গে ঘোষিত হলো ২ মার্চ থেকে ৩ মার্চ দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল চলবে।

২ মার্চ ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ছিল ‘জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত’। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হওয়ার পর সংগ্রামী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে ২ মার্চ বিক্ষোভ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণের বটতলায়। বেলা ১১টার দিকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ডাকসুর ভিপি আ স ম আব্দুর রব। এমন সময় ছাত্রলীগের নেতা শেখ জাহিদ হোসেন একটি বাঁশের মাথায় পতাকা বেঁধে মঞ্চে এলেন। একাত্তরের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রথম জাতীয় পতাকা তোলা হয়েছিল। সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি মানচিত্র খচিত পতাকা। ওইদিন পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ডাকসুর সহসভাপতি আ স ম আবদুর রব। (সুত্র : উইকিপিডিয়া)।

আ স ম আবদুর রব ছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছিলেন ডাকসুর জিএস আব্দুল কুদ্দুস মাখন ও শাহজাহান সিরাজ। সেই ছাত্র সমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, শাহজাহান সিরাজসহ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। সেখান থেকেই স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের কথা উঠেছিল। ২ মার্চের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তির বীজ বপন করা হয়েছিলো।

সেদিন দুপুরে ও রাতে যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সচিবালয়ে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়েছিল। রাতে পাকিস্তান রেডিওতে ঢাকায় কারফিউ জারির ঘোষণা এসেছিল। কিন্তু, কারফিউ ভঙ্গ করে ছাত্র শ্রমিক জনতা শহরের বহু জায়গায় ‘কারফিউ মানি না’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’সহ নানা স্লোগানে বিক্ষোভ করেছিল। ছাত্র যুবক জনতা কারফিউ ভেঙে গভর্নর হাউজের দিকে যেতে শুরু করলে ডিআইটি মোড় ও মর্নিং নিউজ পত্রিকা অফিসের সামনে মিছিলে গুলি চালায় সেনাবাহিনী।

পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মার্চ ১৯৭১ পল্টন ময়দানে বিশাল জনসভায় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন শাজাহান সিরাজ। ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে আবারও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা শাহজাহান সিরাজ। এ দিনে সারা দেশে পূর্ণ হরতাল পালিত হয়। চট্টগ্রামে বহু লোক সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যায়। অন্যদিকে সামরিক সরকার কার্ফিউ জারি করে। ৬ মার্চ প্রেসিডেণ্ট ইয়াহিয়া খান বেতারভাষণে ২৫ মার্চ ১৯৭১ তারিখে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন।

৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান – নির্বাচনে সদ্য জয়ী হওয়া আওয়ামী লীগ এর নেতা, রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন , “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম “। পরে ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ঢাকা আগমন। ১৬ মার্চ প্রথম দফায় শেখ মুজিবের সাথে ইয়াহিয়ার আড়াই ঘণ্টা বৈঠক হয়। ১৭ মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক দ্বিতীয় দফায় চলে। মার্চ ২৪: প্রেসিডেণ্ট ইয়াহিয়া খান ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের মধ্যে সর্বশেষ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সকালে শেখ মুজিব ও ইয়াহিয়া খানের সামনে পেশ করার জন্য দুই পক্ষের মধ্যকার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানের একটি খসড়া দাঁড় করানো হয়।

২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকাসহ সারা দেশে অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে, রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র, এবং সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর বাংলাদেশী সদস্যদের হামলা শুরু করে। বাঙালি মুক্তিসেনা এবং জনতাও স্বাধীনতার ঘোষণার প্রতীক্ষায় ছিলো। এরপর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। শুরু হলো সশস্ত্র যুদ্ধ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে একই বছর ১৬ ডিসেম্বর আমরা পেলাম বিজয়; পেলাম লাল-সবুজের পতাকা; পেলাম স্বাধীন সত্তা ও সার্বভৌমত্ব।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস কে কেন্দ্র কওে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। এটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে এই পদক প্রদান করা হয়। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে প্রদান করা হয়ে থাকে।

স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পর এসে এখন বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুশাসনের ভিত্তিতে একটি সুখী সমৃদ্ধ পূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। দুর্নীতি-দুঃশাসন বিহীন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রত্যাশা দেশের প্রতিটি বিবেকবান নাগরিকের।

লেখক : বিলাল মাহিনী
নির্বাহী সম্পাদক : ভৈরব সংস্কৃতি কেন্দ্র, যশোর
bhmahini@gmail.com

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews