1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
জাতীয় শোক দিবসে শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা/ বঙ্গবন্ধু : বাঙালির শিকড় থেকে শিখরে - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া সীমান্তে ৮ কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ ক্ষমতায় গেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতারা জীবিকার তাগিদে ডাকাত আতঙ্ক উপেক্ষা করে সুন্দরবনে জেলেদের প্রবেশ শ্যামনগরে বেড়িবাঁধের অবৈধ নাইন্টি পাইপ অপসারণ করায় পাউবো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি পাকিস্তানে সেনা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে পাঁচ সেনা নিহত ৩৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নথি হস্তান্তর, চাকরি হারালেন কর কমিশনার মিতু একই প্রতিষ্ঠানে টানা দু’বারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না কেউ সেনাবাহিনীর অভিযানে খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থী আল রাফি উদ্ধার ডাকসু নির্বাচন স্থগিত শ্রীনগরে মাদকাসক্ত ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করলেন বাবা

জাতীয় শোক দিবসে শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা/ বঙ্গবন্ধু : বাঙালির শিকড় থেকে শিখরে

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২
  • ৩২৯ জন খবরটি পড়েছেন

বিলাল হোসেন মাহিনী

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। এটি বাংলাদেশে পালিত একটি জাতীয় দিবস। প্রতিবছর জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবসটি শোকের সাথে পালন করা হয়। এ দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই দিনে শাহাদাত বরণ করেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।  ঘাতকচক্রের মনোবিকৃতির বীভৎসতম উন্মত্ততায় সেই কালরাতে আরও যাঁরা শহীদ হলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শেখ নাসের, শেখ কামাল, শেখ জামাল, সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, শেখ ফজলুল হক মণি, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মণি, আবদুর রব সেরনিয়াবাত, বেবি সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত সেরনিয়াবাত, সজীব সেরনিয়াবাত, রেন্টু খান, কর্নেল জামিল, সিদ্দিকুর রহমান (এসবি কর্মকর্তা), সৈয়দ মাহবুবুল হক (সেনা সদস্য) প্রমুখ। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন কেবল বেঁচে গেছেন বঙ্গবন্ধুর দুই প্রবাসী কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

বাঙালির এই শোকের দিনে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থণা, তিনি যেনো ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকলকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের মেহমান বানান। আমিন। আজকের দিনে এই মহান নেতাকে হৃদয়ের সব অর্ঘ্য আর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাঙালি জাতি। তাই আজকের দিনটি শোকের দিন- সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করার দীপ্ত শপথেরও দিন। তাঁদের শাহাদাতবার্ষিকীর দিনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করছে। জাতি বাঙালির ইতিহাসসম্মত শক্তিমত্তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ এই যে, পনেরো আগস্টের জাতীয় শোক আজ জাতীয় শক্তি ও জাগরণে উদ্ভাসিত। বাংলার চিরায়ত কবি-লেখক ও ধ্যানী-জ্ঞানীরা চিরকাল সেই শক্তি-দর্শনেরই জয়গান করেছেন, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’

বাঙালি জাতি শির উঁচু করে বিশ্বের বুকে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন জাতি হিসেবে হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকুক, এটাই ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের সাধনা। সেই স্বপ্ন-সাধনায় ব্রত হয়েছিলেন তিনি। জীবনের বেশিরভাগ সময় জুলুমের জিঞ্জির ভাঙতে জেলখানাতে কাটিয়েছেন। মানুষের অধিকার আদায়ে অনড় ও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। সহস্র বছর ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠীতে গড়ে উঠা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হাতে নিয়েছিলেন হ্যামিলিয়নের বাঁশি। সেই যাদুকরী বাঁিশি মানুষের কর্ণকুহুরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলো স্বাধিকারের মন্ত্র। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালি জাতি অসংকোচচিত্তে ঢেলে দিয়েছিলো রাঙা খুন। ফিরিয়ে এনেছিলো মায়ের ভাষা বাংলা। লাখো মা-বোনের সম্ভ্রম আর এক নদী রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। যার স্বপ্নদ্রষ্টা মহান স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আমাদের প্রিয় বাংলাকে বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে। দুই দশক বিস্তৃত আন্দোলন-সংগ্রাম, নয় মাসব্যাপী সশস্ত্র যুদ্ধ এবং লক্ষ প্রাণ সংহার। এসবের অনিবার্য পরিণতি বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ করলো বাংলা ভাষাভাষী বাঙালির একমাত্র রাষ্ট্র। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা ওখানেই। বঙ্গবন্ধু ও দুঃসাহসী বাঙালি জাতি সেই স্বাতন্ত্রের প্রতীক।

এখন আসুন, এই যে বাঙালির গৌরবদীপ্ত স্বাধীন আবাস, ইতিহাসখ্যাত বাংলাদেশ, তার জন্মদানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কার? এ জিজ্ঞাসার নির্দ্বিধা উত্তর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি ঘুমন্ত শার্দূলদেরকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। যিনি সাহসে-দ্রোহে প্রোজ্জ্বল করেছিলেন বাঙালিকে। এখানে উল্লেখ্য, অনার্য, আর্য-নিষাদ-দ্রাবিড় মিলে বাঙালি। বহু খণ্ড-বিখণ্ডে বিভক্ত বাঙালি জাতিকে তথা এই আত্মপরিচয়হীন বহু খণ্ডিত বাঙালিকে একতাবদ্ধ করে বাঙালি জাতি হিসেবে আত্মপরিচিত করেছেন সোহরাওয়ার্দী, একে ফজলুল হক, রবীন্দ্র, নজরুলসহ ভাসানীরা। আর চূড়ান্ত বিজয় দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদেও সুনির্দিষ্ট আবাসের ঠিকানা দিয়েছেন তিনি। সে কারণেই তিনি বাঙালি জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের স্থপতি। ১৯৪৮-১৯৪৯ সালে জিন্নাহ-নাজিমউদ্দিনের বাংলা ভাষা বিদ্বেষ তাকে রুষ্ট করেছে। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। গড়ে তুলেছিলেন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। সালাম বরকত রফিক জব্বারসহ নাম না জানা অসংখ্য মানুষের প্রাণের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পেয়েছিলো তার মায়ের ভাষা।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন তার মধ্যে যে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী চেতনার জন্ম দিয়েছে, তাকে তিনি আশ্রয় করে পূর্ববাংলার বাঙালিদেরকে জাতীয়তাবাদী করে গড়ে তুলেছেন। ’৫২ পরবর্তী পূর্ববাংলার সবকটি আন্দোলন বিশেষ করে শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ক প্রত্যেকটি সংগ্রামে বাঙালির হয়ে বাঙালিকে জাগ্রত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ব্যক্তিজীবনে মুসলমান হয়েও বাঙালি পরিচয়কে সর্বাগ্রে উচ্চারণ করেছেন তিনি। তার অবিনাশী দ্রোহ, উচ্চারণ বাঙালিকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। ফলে ১৯৬৬ সালে যখন তিনি ৬ দফা নিয়ে বাংলার মাঠে নামলেন, তখন বাঙালি ওই ৬ দফার মধ্যে নিজের আত্মমর্যাদা, আত্মপ্রতিষ্ঠা ও চূড়ান্ত গন্তব্য প্রত্যক্ষ করল। বাঙালি দলে দলে তার পেছনে সমবেত হলো। তিনি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো বাঁশি বাজিয়ে পূর্ববাংলার বাঙালিকে নিয়ে গেলেন স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বারপ্রান্তে। এনে দিলেন স্বাধীনতা, লাল-সবুজের পতাকা।যে মহান নেতা, আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালি জাতিসত্তার প্রাণ। সেই মহাবীরের-ই প্রাণ দিতে হলো এদেশের এক শ্রেণির মুনাফিক ও বিপথগামী সেনা কর্তাদের হাতে। এখানেই শেষ নয়, বাঙালি জাতি যেনো তাদের স্বাধীন সত্তা নিয়ে সামনে আগাতে না পারে, এ জন্য বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও সহচার্যে থাকা সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সীমারের মতো বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র রাসেলকেও হত্যা করেছিলো হায়েনার দল। তাইতো ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য মহা শোকের দিন। বেদনা বিধুর দিন। তবে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এগিয়ে যেতে হবে বাঙালিকে। শান্তি, সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শন হোক আমাদের পাথেয়। এই প্রত্যাশায়।

বিলাল মাহিনী,শিক্ষক ও সাংবাদিক / পরীক্ষক : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। প্রভাষক : গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসা। bhmahini@gmail.com

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews