1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
শহীদ বুদ্ধিজীবী আরজ আলীর ৫১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া সীমান্তে ৮ কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ ক্ষমতায় গেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতারা জীবিকার তাগিদে ডাকাত আতঙ্ক উপেক্ষা করে সুন্দরবনে জেলেদের প্রবেশ শ্যামনগরে বেড়িবাঁধের অবৈধ নাইন্টি পাইপ অপসারণ করায় পাউবো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি পাকিস্তানে সেনা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে পাঁচ সেনা নিহত ৩৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নথি হস্তান্তর, চাকরি হারালেন কর কমিশনার মিতু একই প্রতিষ্ঠানে টানা দু’বারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না কেউ সেনাবাহিনীর অভিযানে খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থী আল রাফি উদ্ধার ডাকসু নির্বাচন স্থগিত শ্রীনগরে মাদকাসক্ত ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করলেন বাবা

শহীদ বুদ্ধিজীবী আরজ আলীর ৫১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২
  • ৩০৭ জন খবরটি পড়েছেন

রাজেশ গৌড়

আজ ১৬ আগস্ট শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আরজ আলীর ৫১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। দিবসটি পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার উনার আত্মার মাগফেরাত কামনায় শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আরজ আলী স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মসজিদে দোয়া, খতমে কোরআন এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহন করেছে ।

শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আরজ আলীর সংক্ষিপ্ত জীবনী উল্লেখ করা হলো-
সুসং সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া…

শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আরজ আলী মহান মুক্তিযুদ্ধে নেত্রকোণা অঞ্চলের একজন কিংবদন্তিতুল্য শহীদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং নৈতিকতা ও মানবিকতার দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে যে ক’জন স্বাধিকার আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহন করেছেন তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

১৯৪৫ সনের ১ ফেব্রুয়ারী নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরের নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আলহাজ্ব নবী হোসেন এবং মাতার নাম আলহাজ্ব শাহরজান বানু। শৈশবে পিতৃবিয়োগের পর একমাত্র বড় ভাই আলহাজ্ব মিরাজ আলীর স্নেহে-আদরে তিনি বেড়ে উঠেন। নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগ্রহনের পর এন জারিয়া-ঝাঞ্জাইল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬১ সনে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন।

তারপর নেত্রকোণা মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সনে আই.এ এবং ১৯৬৫ সনে বি.এ পাশ করেন। ১৯৬৪ সনে তিনি নিজ এলাকার তরুণদের সংগঠিত করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে বিশেষ ভুমিকা রাখেন। ১৯৬৫ সনে সুসঙ্গদুর্গাপুরে স্বৈরশাসক আইয়ুব খাঁনের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় বিশেষ ভুমিকা রাখেন।

১৯৬৫ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন শাস্ত্রে ভর্তির পর থেকে পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তিনি যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় মানুষ এবং দেশকে ভালবাসার মন্ত্রে দীক্ষা নেয়া এ শহীদ ১৯৬৬র ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তখন তিনি তৎকালীন ইকবাল হলের আবাসিক ছাত্র। ছাত্রলীগের প্যানেলে ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসু ইকবাল হল শাখা সংসদের নির্বাচনে তিনি সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। যে সংসদের ভিপি ছিলেন প্রখ্যাত জননেতা জনাব তোফায়েল আহাম্মেদ। তাঁর ভাগ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী বিশ্বাসের সূত্রে জানা যায় যে, শেখ ফজলুল হক মণির সাথেও তাঁর ছিল ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সম্পর্ক। ১৯৬৭ সনে কৃতিত্বের সাথে দর্শনশাস্ত্রে এম এ পাশ করে অধ্যাপনায় যোগ দিয়েও- তিনি গণতন্ত্র ও স্বাধিকার তথা বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের কথা ভুলে যাননি।

১৯৬৮ সালে প্রথমে ইশ্বরগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে এবং পরবর্তীতে ১৯৬৯ সনে নেত্রকোনা মহাবিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০এর নির্বাচন পর্যন্ত ছয় দফার আলোকে সুসঙ্গদুর্গাপুরের জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতেন।

এ কারণে ১৯৬৯র গণ অভ্যুত্থানে সুসঙ্গদুর্গাপুরের ‘ছাত্র-জনতা সন্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ’-এর তিনি ছিলেন আহ্বায়ক । জনগণকে সংগে নিয়ে এসময় আইয়ুবপন্থী বিডি মেম্বারদেরকে তিনি স্বপক্ষ ত্যাগ করতে আহ্বান জানান। কিন্তু কিছু বিডি মেম্বার তা করতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আন্দোলনকারীদের সাথে নিয়ে তাদেরকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করেন। এ সময় কেন্দ্র থেকে সংগৃহীত ফর্মে বিডি মেম্বারদের পদত্যাগ কার্যকর করার জন্য তাদের বন্ডসইও গ্রহণ করেন ।

সফল গণ অভ্যুত্থানের পর এলাকায় শিক্ষার সুযোগ বিস্তারে সুসং মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি বিশেষ ভুমিকা রাখেন। ১৯৭০র ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণেও তাঁর ভুমিকা ছিল অগ্রণী। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তাঁর ছাত্র(বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব নুরুল আমীন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, নেত্রকোণা) ও স্নেহধন্যদের (সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব জালাল উদ্দীন তালুকদার ও রুহুল কুদ্দুস ফরাজী) বরাতে জানা যায় যে, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক সংগঠক ও পথ প্রদর্শক। তিনি বহু ছাত্র ও তরুণকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে উদ্বুদ্ধ করেন।

সর্বপ্রথম তিনি তাঁর বাড়িতে অবস্থানকারী আপন ভাগ্নে ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস, লজিংয়ে থাকা মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল জব্বার মুন্সী এবং পাশের গ্রামের ছাত্র মতীন্দ্রকে ভারতের বাঘমারায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিবন্ধন করান। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী হবার পূর্ব পর্যন্ত তাঁর ছাত্র ও ঘনিষ্ঠ তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণ অব্যাহত রেখেছিলেন । ভারত সীমান্তবর্তী তাঁর বাড়িটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে যোগদানকারীদের এক ট্রানজিট ক্যাম্প। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্নে বিভোর এ শহীদ বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাঁর সদ্যজাত ভ্রাতুষ্পুত্রের নাম রাখেন ‘মুজিব’ এবং সদ্যজাত এক ভ্রাতুষ্পুত্রীর জন্যে অভিনব এক নাম রাখেন ‘রাষ্ট্রন্নেছা’।

আগস্টের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠন ও সহযোগিতা করার অভিযোগে পাকি কর্ণেল তাঁকে নেত্রকোণা ক্যান্টনমেন্টে তলব করে এবং জানিয়ে দেয় যে, আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত তিনি যেন স্টেশন লিভ না করেন, এবং এর ব্যতিক্রম কিছু হলে তাঁর স্বজন সকলকে মেরে ফেলা হবে। একথা শুনে তিনি আর পালানোরও চেষ্টা করেন নি । অতঃপর স্বাধীনতার শত্রুরা ১৯৭১র আগস্টের ৯/১০ তারিখে তাঁর বাড়ি-ঘর লুটপাট করে এবং পুড়িয়ে দেয়। তারপর ১২ আগস্ট বর্তমান নেত্রকোণা সরকারি কলেজের টীচার্স মেস থেকে পাকিবাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করে।

নেত্রকোণা থেকে দু’দিন পর নিজ এলাকা সুসঙ্গ দুর্গাপুরের বিরিশিরিস্থ সেনাক্যাম্পে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়। পাকি হানাদারদের মেজর সুলতান হায়দার খাঁন পাঠান তাঁর জনপ্রিয়তায় বিস্মিত হয়ে তাঁকে জীবন রক্ষার জন্যে- প্রচুর সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতাগ্রহন করে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করার লোভনীয় প্রস্তাব পেশ করেন।! কিন্তু তিনি তা তীব্র ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন। তিনি অকুতোভয়ে প্রস্তুত থাকেন শহীদী মৃত্যুর জন্যে। এলাকাবাসীর সূত্রে এবং ২০০২ সনে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে ‘প্যারাকমান্ডো ওয়ার্কশপ’-এ অংশগ্রহনকারী সৈনিক রোকন উদ্দিনের ভাষ্যমতে জানা য

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews