1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
ডাব বিক্রি করে সংসার চালান বৃদ্ধ আঃহক - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া সীমান্তে ৮ কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ ক্ষমতায় গেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতারা জীবিকার তাগিদে ডাকাত আতঙ্ক উপেক্ষা করে সুন্দরবনে জেলেদের প্রবেশ শ্যামনগরে বেড়িবাঁধের অবৈধ নাইন্টি পাইপ অপসারণ করায় পাউবো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি পাকিস্তানে সেনা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে পাঁচ সেনা নিহত ৩৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নথি হস্তান্তর, চাকরি হারালেন কর কমিশনার মিতু একই প্রতিষ্ঠানে টানা দু’বারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না কেউ সেনাবাহিনীর অভিযানে খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থী আল রাফি উদ্ধার ডাকসু নির্বাচন স্থগিত শ্রীনগরে মাদকাসক্ত ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করলেন বাবা

ডাব বিক্রি করে সংসার চালান বৃদ্ধ আঃহক

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৭১ জন খবরটি পড়েছেন
ডাব বিক্রেতা আঃ হক-বিডিটেলিগ্রাফ

আজিজুল ইসলাম।।

প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে বাঘারপাড়ার নারিকেল বাড়িয়া বাজারে একটি  সাইকেলের ওপর অনেকগুলো ডাব রাখা আছে । মাঝে মধ্যে এক একজন ক্রেতা এসে ডাব কিনছেন। ধারালো ছোট দায়ের  কোপে খুব সুন্দর করে ডাব কেটে ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছেন আঃ হক (৭০)। এরপর একটি প্লাস্টিকের ছোট পাইপের এক অংশ ডাবের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতা পাইপের অপর অংশে মুখ লাগিয়ে ডাবের পানি পান করছেন।  পানি পানের পর আঃ হক দাঁ দিয়ে ডাবটি আড়াআড়িভাবে ফালি দিচ্ছেন। এরপর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা কাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে শাঁস তুলে ক্রেতাকে দিচ্ছেন।

গরম কিংবা শীত সব ঋতুতেই ডাবের পানির সমান কদর রয়েছে। তবে গরমের সময় ডাবের বেশি চাহিদা থাকায় বিক্রি বাড়লেও শীতের সময় ডাব বেচাবিক্রী খুব কম হয়ে যায়। টানা ১৫ বছরের্ বেশি সময় ডাব বিক্রি করছেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসায় জড়িত থাকায় আঃ হক ডাব হাতে নিয়ে বুঝতে পারেন কোনটাতে কতটুকু পানি আছে, কোনটাতে সর বা শাঁস হয়েছে, কোনটার শাঁস শক্ত হয়েছে। কোন কোন সময় দু’একটি ডাবে একটুও পানি থাকেনা ।ওই ডাবটার দাম আর পান না তখন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হন বলে তিনি জানান।

গ্রামে ঘুরে ঘুরে ডাব কেনা, গাছ থেকে পাড়া আবার ভ্যানে করে শহরে পর্যন্ত আনা এরপর বিক্রির কাজ। আঃ হক ডাব বিক্রি করে প্রতিদিন ২৫থেকে ৩০ টা ডাব বিক্রী করতে পারেন তিনি। এতে তার ৫ শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা আয় করেন। এদিয়েই কোনমতে চলে তার সংসার।  

তিনি জানান, সকালে গ্রাম থেকে ডাব সংগ্রহ করে বাজারে এনে বিক্রি করতে হয় তাকে। ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকার মধ্যে ডাব কিনে থাকেন। এরপর সাইকেলে বাজারে ঘুরে ঘুরে তিনি ডাব বিক্রি করেন। প্রতিটি ডাব ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি।

ডাব বিক্রেতা আঃ হক

শালিখা উপজেলার শরুশুনা গ্রাম থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর আগে বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়ায় এসে বসবাস করছেন আঃ হক। মাত্র ৫ শতক জমির  উপরে ৫ ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস তার। ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ৩ ছেলে ও ১ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।

আঃহক এখন ১ ছেলে আর ১ মেয়ে নিয়ে সংসার করছেন। বিবাহিত ৩ ছেলেই নিজ স্ত্রীদের সাথে নিয়ে আলাদা থাকে আর অনার্স পাশ করা বিবাহিত বড় মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকে।  

ডাব বিক্রেতা আঃ হক জানান, ছোট মেয়ের পড়া-লেখাসহ ৪ জনের সংসার চালাতে তাকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিন তার সংসারে লাগে ২ কেজি চাউল । সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিষ কিনতে হয়। এতে করে সব সময় ধার দেনা লেগেই থাকে। মাঝে মাঝে স্ত্রীর শখের কানের দুল বন্ধক রেখে টাকা ঋন নেন। এছাড়া বড় মেয়ে বিয়ে দিতে গিয়ে ব্রাক থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সপ্তাহে তিন হাজার একশত টাকার কিস্তি দিতে হয়। এদিকে বয়সের ভারে আর ডাব পেড়ে এনে বিক্রি করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে ঝুকি নিয়ে এই ব্যবসা করছেন।  এতদিন না পেলেও এবার তার বয়স্কভাতা চালু হয়েছে বলে জানান।

দিন দিন ডাবের চাহিদা বাড়ছে জানিয়ে আঃ হক বলেন, ‘শতভাগ নিশ্চিত যে ডাবে কোন ভেজাল নেই। প্রচন্ড গরমে ডাবের পানি শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। তাইতো পথেঘাটে পিপাসা মেটানোর জন্য সচেতন মানুষ বেছে নেন ডাবের পানি। তিনি জানান, ডাবের চাহিদা বাড়ছে।তবে এখন গাছে নারিকেলের ফলন কম হওয়ায় ডাবের সংকট দেখা দিয়েছে। আগের মত আর মেলেনা ডাব। এর ফলে দাম বেশি হওয়ায় অনেক মানুষ ডাব না খেয়ে অন্য পানীয় পান করেন। 

“উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের মতো ভারত ও মধ্য আমেরিকার অনেক দেশে (যেমন কোস্টারিকা ও পানামা) রাস্তার পাশে বিক্রেতারা ডাব বিক্রি করেন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে টাটকা ডাবের পানির ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।  

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews