1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানিতে দেশের ৮ জেলায় ভয়াবহ বন্যা - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণায় শ্যামনগরে আনন্দ মিছিল কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা সাজু গ্রেফতার জেপিসি কমিটির বিরুদ্ধে মুসলিমসহ ভিন্নমত দমনের অভিযোগ মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের জন্য মসজিদ-মাদ্রাসা ও ইমামবাড়ীর দরজা খুলে দিলেন মুসলিমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়ে রণক্ষেত্র ফুসরা গ্রাম, আহত ৮ ফাঙ্গিও-মসের চালানো মার্সিডিজ স্ট্রিমলাইনার বিক্রি হলো ৬৫০ কোটি টাকায় দাবি না মানলে রেললাইন ছাড়ব না, শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি শেখ হাসিনাকে এক শ কোটি টাকা ঘুষ দেয়া, সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য লেখনী ও চিত্রে বাংলা ভাষা আন্দোলন ও অমর একুশ রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের মাঝে চেক বিতরণ

ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানিতে দেশের ৮ জেলায় ভয়াবহ বন্যা

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৫ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-সংগৃহীত

টানা বৃষ্টি ও ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানিতে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লাসহ দেশের অন্তত ৮ জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া এবং নোয়াখালীর কয়েকটি উপজেলার অবস্থা শোচনীয়। এসব এলাকায় গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ভেসে গেছে পথঘাট, সড়ক, ফসলি জমি ও মাছের ঘের। কোথাও কোথাও মঙ্গলবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। বন্ধ মোবাইল নেটওয়ার্কও। এতে অনেক এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধারে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। কিন্তু পর্যাপ্ত নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হচ্ছে। ফেনীর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা বলছেন, এই এলাকায় ১৯৮৮ সালের পর বন্যা পরিস্থিতি আর কখনও এতটা ভয়াবহ হয়নি। বন্যার পানির তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তিনটি সেতু ভেঙে গেছে।

বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার ডম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডম্বুর গেট খুলে দিয়েছে ভারত। ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতীর জেলা প্রশাসক তরিৎ কান্তি চাকমা তার সরকারি এক্স অ্যাকাউন্টে এ কথা জানিয়েছেন। ত্রিপুরা টাইমসের খবরেও একই রকম তথ্য দেওয়া হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এতে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে পানি নেমে আসছে।

এদিকে বন্যা আরও নতুন নতুন অঞ্চলে বিস্তৃত হতে পারে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বুধবার বিকালে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা। তিনি বলেন, ফেনী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি এই মুহূর্তে বাড়ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী, হালদা নদীর পানি ৭টি স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

ফেনী ও দাগনভূঞা : ফেনী সদর, দাগনভূঞা, পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে কয়েক লাখ মানুষ। ফেনী সদরের শশর্দী ইউনিয়নের দক্ষিণ আবুপুর, কুমিরা, উত্তর আবুপুর, শশর্দী, বাকগ্রাম, পাঁছগাছিয়া ইউনিয়নের জগাইর গাঁও, ঢমুরিয়া, উত্তর ডমুরিয়াসহ ১৫টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ১৫০টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফেনী-পরশুরাম ও ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়কের অনেক জায়গায় পানি উঠেছে। এতে অনেক এলাকায় অভ্যন্তরীণ যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।

ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক সাহাব উদ্দিন বলেন, রাত ৩টার দিকে বুক সমান পানি দিয়ে ছোট সন্তানকে মাথায় নিয়ে পরিবারসহ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। চারদিকে থইথই পানি। ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। জিনিসপত্র কোনো কিছুই বের করতে পারিনি।

কিসমত শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা হেলাল মিয়া বলেন, ঘরের ছাদ পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। আটকে পড়াদের উদ্ধারে দুই-একটি নৌকা কাজ করলেও পানির স্রোতের কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে।

পরশুরামের বক্সমাহমুদ গ্রামের সাংবাদিক মো. শাহআলম বলেন, আমাদের ত্রাণের চেয়েও এখন নৌকা বা স্পিডবোট বেশি প্রয়োজন। বন্যা পরিস্থিতি এমন হবে কেউ বুঝতে পারেননি। হঠাৎ করে পানি বেড়ে গেছে। সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও বেশি ভোগান্তি হচ্ছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ. দা.) মো. আবুল কাশেম বলেন, বুধবার দুপুরে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এত পানি আগে কখনও দেখা যায়নি। মানুষ উদ্ধারেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ।

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা যুগান্তরকে বলেন, চিথলিয়া, সলিয়া ও অলকা এলাকায় অনেক মানুষ আটকা পড়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। কিন্তু নৌকার সংকট ও তীব্র স্রোতের কারণে ঠিকভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা জানান, পানিবন্দি লোকদের নিকটবর্তী বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ফেনীতে টানা তিনদিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত। বুধবার ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার যুগান্তরকে বলেন, সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের একটি টিম স্পিডবোট নিয়ে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। জেলা শহর থেকে নদীপথ না থাকায় পরিবহণে করে স্পিডবোট নিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় উদ্ধারে কাজ করছে বিজিবি সদস্যরা।

নোয়াখালী, চাটখিল ও সেনবাগ : জেলা সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর উপজেলার বেশিরভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি। বেগমগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সদর উপজেলার পশ্চিম চর উরিয়ার বাসিন্দা রেজাউল হক বলেন, রান্নাঘরে ঢুকে গেছে। বাড়ির কেউই ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন বলেন, মানুষের বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে আছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। এত পানি আগে দেখিনি।

নোয়াখালীর আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, নোয়াখালীতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, যা গত ২০ বছরেও হয়নি। এছাড়া জোয়ার থাকায় পানি নামতে পারছে না।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য উপজেলা পর্যায়ের সব মাধ্যমিক, প্রাথমিক শিক্ষপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসাসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের বলা হয়েছে। যেখানে যে সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা তা করছি।

কুমিল্লা উত্তর, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর : সরেজমিন দেখা গেছে, গোমতী নদীতে হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে চরাঞ্চলে বসবাসকারী লাখ লাখ বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই নদীতে পানি বাড়তে থাকে। বুধবার দিনভর ভারি বৃষ্টির ফলে পানির গতি আরও বৃদ্ধি পায়। এতে নদীর বেড়িবাঁধের অভ্যন্তরে বসবাসকারী বাসিন্দারা চরম বিপাকে পড়েছে। তাছাড়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার লাখ লাখ বাসিন্দাও বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় রয়েছেন। জেলার বিবির বাজার এলাকার কটকবাজার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত গোমতী নদীর দুই পাড়ের বাঁধের ওপর হাজার হাজার পানিবন্দি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। দেবিদ্বার উপজেলা সদর, শিবনগর, কালিকাপুর, বেগমাবাদ, চরবারক, বিনাইপার, রগুরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি। মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামে বজ্রপাতে আমেনা বেগম মুহুনী (৫২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের আসমানিয়া বাজার ও নারায়ণপুর সংযোগ সেতুটি প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, গোমতী নদীতে ক্রমেই পানির চাপ বাড়ছে। উজানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারি বর্ষণে গোমতী নদী দিয়ে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫টি টিম বাঁধ পর্যবেক্ষণে গোমতীর পাড়ে অবস্থান করছে। কোথাও কোনো বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আখাউড়া বন্দরের ইমিগ্রেশন ভবনে হাঁটুপানি জমেছে। বন্দরের সড়কও পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও। স্থলবন্দর সড়কের পাশে আমদানি-রপ্তানিকারকদের বেশ কয়েকটি অফিসও তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামে। পানির তোড়ে গাজীরবাজার এলাকায় জাজি গাংয়ের ওপর অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, সকালে বন্দরে কয়েকটি মাছের পিকআপ ভ্যান এসেছে। তবে জলাবদ্ধতার কারণে বড় ট্রাকগুলো আসতে পারেনি।

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি : মাইনি ও কাচালং নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের একাধিক অংশ ডুবে গেছে। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাজেকে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছে অন্তত আড়াইশ পর্যটক। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার, মাচালং ও কবাখালি অংশে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ আছে। এতে প্রায় ২শ ৫০ জন পর্যটক আটকা পড়েছে।

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) : হালদা, ধুরুং, সর্তা,গজারিয়াসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার দুটি পৌরসভাসহ ১৮ ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। লেলাং, রোসাংগিরী, সুন্দরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শতাধিক বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। ২০ থেকে ২৫টি মাছের ঘের ও অধিকাংশ পুকুর ডুবে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, প্রয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) : টানা বৃষ্টিতে অনেক রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ভেসে গেছে বহু মাছের ঘের। হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম জানিয়েছেন, পানিতে শাক-সবজি জাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) : কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ও টিলাগাঁও ইউনিয়নে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে দুটি স্পটে মঙ্গলবার রাতে প্রায় ৬শ ফুট এলাকা জুড়ে বিশাল ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় লোকজন বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বরিশাল : ৭ নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এসব নদী তীরবর্তী এলাকাসহ নিæাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন পার করছেন। এছাড়াও অন্যান্য পার্শ্ববর্তী নদ-নদীগুলোর পানি প্রতিদিন দুবার জোয়ারের সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্থানীয়দের বসতবাড়ি প্লাবিত করছে।

লক্ষ্মীপুর : টানা বৃষ্টিতে বসতবাড়ি, মাঠ-রাস্তাঘাট, বীজতলা ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এছাড়া মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে উপক‚লের বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা আর জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকা এলাকাগুলোতে মাটির চুলায় রান্না বন্ধ হয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারছে না।

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : উচাখিলা-বটতলা সড়কে ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন চরআলগী গ্রামের খালের ওপর বেইলি ব্রিজ পানির তোড়ে ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এতে দুই ইউনিয়নের সড়ক পথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : খৈয়াছরা, ইছাখালী, করেরহাট, হিঙ্গুলী, বারইয়ারহাট পৌরসভা, মীরসরাই পৌরসভার নিম্নাঞ্চল, জোরারগঞ্জ, ইছাখালী, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিঠানালা, খৈয়াছড়া, ওসমানপুর, সরকারতালুক, খিলমুরারী ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক।

মৌলভীবাজার : জেলার মনু, ধলাই, কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

বরিশাল : ৭ নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এসব নদী তীরবর্তী এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন পার করছেন। এছাড়াও অন্যান্য পার্শ্ববর্তী নদ-নদীগুলোর পানি প্রতিদিন দুবার জোয়ারের সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্থানীয়দের বসতবাড়ি প্লাবিত করছে।

লক্ষ্মীপুর : টানা বৃষ্টিতে বসতবাড়ি, মাঠ-রাস্তাঘাট, বীজতলা ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এছাড়া মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে উপক‚লের বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা আর জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকা এলাকাগুলোতে মাটির চুলায় রান্না বন্ধ হয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারছে না।

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : উচাখিলা-বটতলা সড়কে ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন চরআলগী গ্রামের খালের ওপর বেইলি ব্রিজ পানির তোড়ে ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এতে দুই ইউনিয়নের সড়ক পথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : খৈয়াছরা, ইছাখালী, করেরহাট, হিঙ্গুলী, বারইয়ারহাট পৌরসভা, মীরসরাই পৌরসভার নিম্নাঞ্চল, জোরারগঞ্জ, ইছাখালী, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিঠানালা, খৈয়াছড়া, ওসমানপুর, সরকারতালুক, খিলমুরারী ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক।

মৌলভীবাজার : জেলার মনু, ধলাই, কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আমাদের সময়ডটকম

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews