মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ শরণখোলা প্রতিনিধি। বাগেরহাটের শরণখোলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত একটি লাশ গত ২১ আগস্ট সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শামীম পরিচয়ে রাজাপুর গ্রামে এনে জানাজা শেষে দাফন করার প্রস্তুতিকালে জানা যায় লাশটি শামীমের নয় শামীম জীবিত আছে।
রাজাপুর গ্রামের রুহুল আমীনের পুত্র শামীম বর্তমানে ঢাকায় শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের ওহাব তালুকদারের পুত্র সাইফুলের ঢাকার আরামবাগ ফার্নিচার ফ্যাক্টরিতে কর্মরত আছে বিষয়টি তার পরিবার ও সংবাদ কর্মীরা নিশ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ৪ আগস্ট পর্যন্ত কয়েকশ ছাত্রছাত্রী ও অন্যান্য শ্রেণী পেশার মানুষ নিহত হয়েছে। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শামীমের বাবা রুহুল আমিন জানায় তার ছেলে দুই বছর আগে বাড়ি থেকে ঢাকায় কাজ করতে যায়। হঠাৎ তারা জানতে পারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তার ছেলে গুলিতে নিহত হয়েছে এবং তার মৃতদেহ স্যার সলিমউল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। এ সংবাদের পর তিনি গত ২০ আগস্ট ওই মর্গে তাকে সনাক্ত করে এবং ২১ আগস্ট দুপুরে শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি এলাকায় নিয়ে আসেন। এ সময় ওই গ্রামে এবং তাদের বাড়িতে হৃদয়বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয় কয়েক হাজার মানুষ জানাজায় উপস্থিত হয়।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর পক্ষ থেকে নিহত ব্যাক্তিকে ছাত্রদলের কর্মী দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম মাদ্রাসার ছাত্র বলে দাবি করেন।
জানাযা শেষে একুশ আগস্ট দুপুরে পরিবারের সদস্যসহ বিএনপি ও জামাতের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হয়ে দাফনের প্রস্তুতি নেন। এ ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের ওহাব তালুকদারের পুত্র সাইফুল ইসলাম ঢাকায় বসে বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার কর্মচারী শামীমকে জানায় ‘তুমি নাকি মারা গেছো, তোমার দাফন সম্পন্ন হয়েছে দুপুরে’। তখন শামীম এক ভিডিও বার্তায় বাড়িতে জানায় আমি শরণখোলা উপজেলার উত্তরা রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিনের পুত্র শামীম । যার জানাজা পড়া হয়েছে সে আমি না অন্য কেউ।
অন্যদিকে বৈষমী আন্দোলনের শরণখোলা উপজেলার সমন্বয়ক হাসান আব্দুল্লাহ জানায় ডেড বডি শনাক্ত করতে তার বাবার ভুল হয়েছে। জানাজা শেষে দাফন করার আগে জানতে পারেন যে শামীম বেঁচে আছে । তখন ওই মৃত দেহটি একই অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, তিনি বিষয়টি মোবাইল ফোনে শুনেছেন শামীম বেঁচে আছে এবং তাকে আনার জন্য তার বাবা রুহুল আমিন ইতিমধ্যে ঢাকা রওনা হয়ে গেছেন। অজ্ঞাত লাশটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাঠানো হয়েছে।