1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
অস্তিত্ব রক্ষায় জলবায়ু সুবিচারের দাবীতে উপকূলের যুবদের নদীবন্ধন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণায় শ্যামনগরে আনন্দ মিছিল কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা সাজু গ্রেফতার জেপিসি কমিটির বিরুদ্ধে মুসলিমসহ ভিন্নমত দমনের অভিযোগ মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের জন্য মসজিদ-মাদ্রাসা ও ইমামবাড়ীর দরজা খুলে দিলেন মুসলিমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়ে রণক্ষেত্র ফুসরা গ্রাম, আহত ৮ ফাঙ্গিও-মসের চালানো মার্সিডিজ স্ট্রিমলাইনার বিক্রি হলো ৬৫০ কোটি টাকায় দাবি না মানলে রেললাইন ছাড়ব না, শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি শেখ হাসিনাকে এক শ কোটি টাকা ঘুষ দেয়া, সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য লেখনী ও চিত্রে বাংলা ভাষা আন্দোলন ও অমর একুশ রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের মাঝে চেক বিতরণ

অস্তিত্ব রক্ষায় জলবায়ু সুবিচারের দাবীতে উপকূলের যুবদের নদীবন্ধন

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১২৯ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-বিডিটেলিগ্রাফ

নিজস্ব প্রতিনিধি। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও সুরক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জলবায়ু ধর্মঘট (ক্লাইমেট স্ট্রাইক) পালন করেছেন যুবরা। তাঁরা জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ এবং টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নদীর পাড়ে নদীবন্ধন করেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী ওয়াপদা বেড়িঁবাধের ভাঙনকূলে অর্ধশতাধিক যুব এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী এ নদীবন্ধনে অংশ নেন। এ সময় তাঁদের হাতে বিভিন্ন ধরণের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল-‘বেঁচে থাকার অধিকার, চাই জলবায়ু সুবিচার’, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করো, ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ চাই, ‘ক্ষতিকারক কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাসহ নানা স্লোগান।

বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ) এর সহায়তায়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বনজীবি ইয়ুথ টিম ও উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি আয়োজিত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এ উপজেলায় জলবায়ু সুবিচারের দাবীতে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আয়োজিত এ নদীবন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বনজীবি ইয়ুথ টিমের সভাপতি মো. শামীম হোসেন।

বারসিকের যুব সংগঠক স.ম. ওসমান গনী সোহাগের সঞ্চালনায় ঐ নৌবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সবুজ সংহতির শেফালী বিবি, এসএসএসটির আহবায়ক প্রকাশ মন্ডল, যুব স্বেচ্ছাসেবক আব্দুর রহমান, আল-মামুন, মোঃ তাওহিদ হোসেন, জুলেখা আক্তার, তানিয়া পারভীন, শরিফা খাতুন, নাছরিন আক্তার প্রমুখ।

এসময় পরিবেশের জন্য হুমকি প্রকল্পগুলো সম্বন্ধে উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটির কার্যকরী সদস্য শামীম হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য জলবায়ু ও জ্বালানি সুরক্ষিত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই।’ সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলির কাছে অবিলম্বে জীবাশ্ম-তহবিল বন্ধ করাসহ জলবায়ু সংকটের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলোর জন্য জলবায়ু ক্ষতিপূরণের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ না করে টেকসই প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য সরকার ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান তিনি।

বারসিক শ্যামনগর রিসোর্স সেন্টারের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) রামকৃষ্ণ জোয়ারদার তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বৈশ্বয়িক পরিবর্তন ঘটছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর লাগামহীন কার্বন নিঃসরণ ও ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার, আমাদের মতো নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে দিন দিন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিণত করছে। সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট এর সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজকের এ নদীবন্ধন। আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ জায়গা থেকে জলবায়ু সুবিচার চাইতে হবে। নতুবা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। আসুন আমরা ফসিল ফুয়েলের নানাবিধ ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সকল প্রাণের জন্য একটি বাসযোগ্য সবুজ পৃথিবী বিনির্মাণ করি।’

স্থানীয় সমাজকর্মী মোঃ বুলবুল হৃদয় বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এবং দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কল-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন খাতে প্রতিনিয়ত যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হয়, তার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের সম্পদশালী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। তাদের পুঁজিবাদী মনোভাবের কারণেই পৃথিবী আজ ধ্বংসের মুখে।’ সবুজ সংহতির কার্যকরী সদস্য ও নারী বনজীবি শেফালী বিবি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে আমরা যারা বনে যাই তারা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ি। বিগত বছরের তুলনায় এবছর মধু কম হয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকাল না হলেও অতিবৃষ্টি হয়, যেকোন সময় ঝড় হয় তখন বন বিভাগ থেকে পাশ দেয়না, আমরা মাছ-কাঁকড়া ধরতে যেতে পারি না। আমাদের লোনা পানিতে নেমে নদীতে জাল টানতে হয়। মহিলাদের অনকে শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়। বেড়িঁবাধ গুলোর করুণ অবস্থা। আমাদের সরকার যদি এখনই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।’

নদীবন্ধনে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু-সংবেদনশীল দেশগুলোকে এখনই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সর্বনাশা সব প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে, সেদিকে দৃষ্টি রেখে যুব স্বেচ্ছাসেবক ও জলবায়ুকর্মীরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও বেশি, উচ্চাকাঙ্খী জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেয়। তারা বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের বড় অংশীদার ধনী দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু তহবিলে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি যত দ্রুত সম্ভব পূরণের তাগাদা দেন। তবে এই অর্থায়নের নামে ‘গ্লোবাল সাউথের’ দেশগুলোর ওপর যেন ঋণ চাপিয়ে দেওয়া না হয় তা নিয়েও সতর্ক করেছে তারা। এমন অর্থায়ন বিপদে থাকা দেশগুলোর ঋণের বোঝা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেও জানান তারা।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews