প্রতিনিধি, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মহিষের হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালি ও বৈশখালি গ্রামে তাণ্ডব চালায় মহিষটি।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- জয়াখালী গ্রামের মৃত শমসের মোড়লের ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫), বৈশখালী গ্রামের মৃত জুম্মন গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল হামিদ (৬৫), আব্দুল করিমের ছেলে বিল্লাল হোসেন (২২), নুরুজ্জামানের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৪), নুরুজ্জামান জামুর ছেলে ইব্রাহিম (২৪) ও অনিমেষ পরামান্যর স্ত্রী সবিতা রানী (৩৬)।
এদের মধ্যে মিজানুর রহমান, আব্দুল হামিদ ও বিল্লাল হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর বাকিদেরকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বিল্লাল হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
স্থানীয়রা জানান, কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালি গ্রামের ওমর আলী গাজীর ছেলে ইতালি প্রবাসী কামরুল ইসলাম গাজীসহ কয়েকজন মিলে মহিষটিকে জবাই করার জন্য পারুলিয়া থেকে কিনে আনে। পরে সকাল দশটার দিকে ওই এলাকার লোকজন মহিষটিকে আটকের চেষ্টা করলে মহিষটি আক্রমণাত্মক হয়ে এলোপাথাড়ি দৌড়াতে থাকে এবং যাকেই পেয়েছে তাকেই আক্রমণ করতে থাকে। এতে অন্তত ছয়জন আহত হন।
এ অবস্থায় দুপুর দুই টার দিকে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানালে তিনি শ্যামনগর ফায়ার সার্ভিসকে ঘটনাস্থলে পাঠান। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এবং এলাকাবাসী মহিষটিকে ধরে জবাই করেন।
মহিষের তাণ্ডবের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, একটি মহিষ জয়াখালি ও বৈশখালি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে ওই এলাকার পাঁচজনকে আহত করেছে। এর মধ্যে দুইজন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। আর একজন অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।