ডেস্ক নিউজ।
জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মাত্র তিন সপ্তাহের মাথায় ভারতের জাতীয় প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। ১৭ মে তিনি সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলে স্থান পেয়েছেন, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াইসির রাজনৈতিক অবস্থান দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য এতদিন সংসদে তার দলের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন। পেহেলগামের হামলার পর সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক্স-এ (টুইটারে) প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান।
ওই বৈঠকে যোগ দিয়ে ওয়াইসি স্পষ্ট ও কড়া অবস্থান নেন। এরপর থেকেই তার বক্তব্য ও ভূমিকাকে কেন্দ্র করে তাকে দেশের ভেতরে ও বাইরে ভারতের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের সমালোচনায় তিনি বলেন, “সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম হয় না। যারা ধর্মের নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে, তারা খারিজি বা আইএস-এর মতো জঙ্গিদের মতোই।” একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, “১৯৪৭ সালে আমরা ভারতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভারত আমাদের দেশ ছিল, আছে, থাকবে।”
ওয়াইসির নেতৃত্বে হামলার প্রতিবাদে মসজিদে কালো ব্যাজ বিতরণও দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। যখন কিছু চক্র এই হামলাকে ধর্মীয় ইস্যু বানাতে চায়, তখন ওয়াইসির ভাষ্য সেই প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করে।
রাজনৈতিকভাবে তিনি বরাবরই নিঃসঙ্গ। AIMIM-এর জাতীয় ভিত্তি সীমিত এবং মূলধারার বড় দলগুলোর অবজ্ঞার শিকার। কিন্তু পেহেলগামের ঘটনার পর তার দৃঢ়তা এমনকি কট্টর হিন্দু শিবিরেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এখন সেই ওয়াইসি ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন। তার এই উত্থান দেখিয়ে দিচ্ছে—রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকলেও, জাতীয় স্বার্থে ঐক্যই প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয়।