ডেস্ক নিউজ।
গাজা উপত্যকার পুরো নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েল গ্রহণ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার (১৯ মে) এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং এখনও তাদের হাতে থাকা ৫৮ জন জিম্মির মুক্তির মাধ্যমেই ইসরায়েল ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ অর্জন করবে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক চাপের পরও ইসরায়েল গাজার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে বলে সাফ জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
এরইমধ্যে শুক্রবার থেকে গাজায় নতুন সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দাদের উপকূলমুখী সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, যেখানে “অভূতপূর্ব হামলা” চালানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে তারা।
মানবিক সংকটের মুখে, আন্তর্জাতিক উদ্বেগ এবং অনাহারের আশঙ্কায় নেতানিয়াহু মার্চে আরোপিত সহায়তা অবরোধ আংশিক শিথিল করতে বাধ্য হয়েছেন। সোমবার কিছু ত্রাণ ট্রাক উত্তর গাজার দিকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তবে এসব সহায়তা কী পরিমাণে প্রবেশ করেছে এবং তা কিভাবে বিতরণ হবে, সে বিষয়ে স্পষ্টতা নেই।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, গাজায় প্রবেশ করা সহায়তা হামাস চুরি করছে। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ বলে উল্লেখ করেছে।
জাতিসংঘ বলছে, প্রতিদিন অন্তত ৫০০টি ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রয়োজন গাজায়। বর্তমানে ১ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যসামগ্রী প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে, যা এক মিলিয়ন মানুষের চার মাসের খাদ্য চাহিদা পূরণে যথেষ্ট।
সোমবার ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, মাত্র ৫টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৯টি ট্রাকের প্রবেশ অনুমতি মিলেছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার এই সহায়তা পরিস্থিতিকে বর্ণনা করেছেন “সমুদ্রে এক ফোঁটা” হিসেবে।