ডেস্ক নিউজ।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এবং মানবিক সহায়তায় বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। সোমবার (১৯ মে) তিন দেশের দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাদ্য, ওষুধ ও পানি প্রবেশে বাধা দেওয়া মানবাধিকারের লঙ্ঘন, যা সহ্য করা হবে না।
বিবৃতিতে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং গাজাবাসীদের স্থায়ীভাবে অন্যত্র পাঠানোর আহ্বানেরও তীব্র বিরোধিতা করা হয়। বলা হয়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিন দেশ জানিয়েছে, গাজা পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ আখ্যা দিয়ে বলেন, চলমান সংকটের সমাধানে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক পথই কার্যকর। তিনি জানান, আগামী ১৮ জুন নিউইয়র্কে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবে ফ্রান্স ও সৌদি আরব।
এদিকে সৌদি আরব ইসরায়েলের স্থল অভিযানের কড়া সমালোচনা করে একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, এ ধরনের অভিযান গাজায় মানবিক সংকটকে আরও গভীর করছে। সুইডেনও গাজা দখলের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।
পশ্চিমা এই সমালোচনার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এসব নেতারা ইসরায়েলকে সুরক্ষা না দিয়ে হামাসকে পুরস্কৃত করছেন। তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলকে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ থামাতে চাপ দেওয়া আসলে ৭ অক্টোবরের মতো আরও হামলার পথ খুলে দেবে।