ডেস্ক নিউজ।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের চলমান পরমাণু আলোচনা ভেঙে পড়লে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল—এমনটি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইসরায়েলের দুই ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে দেশটি একটি সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের জন্য বিস্তৃত মহড়া ও প্রস্তুতি শুরু করেছে।
গোয়েন্দা বিশ্লেষণে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আশঙ্কা করছে, কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। তাদের মতে, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এই হামলা চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। যদিও কেন সময়ক্ষেপণে সফলতার সম্ভাবনা কমে যাবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সূত্রটি।
সিএনএনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানানো হয়, সামরিক মহড়াসহ অন্যান্য প্রস্তুতির মাধ্যমে ইসরায়েল ধাপে ধাপে একটি সপ্তাহব্যাপী জটিল সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে। এই অভিযান কেবল একটি তাৎক্ষণিক হামলা নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রস্তুতিগুলো লক্ষ্য করছে এবং এর গভীরতা সম্পর্কে সচেতন। তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, ইসরায়েল যদি আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়াই হামলা চালায়, তবে তা মার্কিন প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনার ব্যর্থতার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপে পরোক্ষ সমর্থনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এর মধ্যেই আগামীকাল শুক্রবার রোমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম দফা আলোচনা। এর আগের বৈঠকে হোয়াইট হাউসের দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের প্রতিনিধিদের হাতে একটি লিখিত প্রস্তাব তুলে দেন। যদিও এতে সামান্য আশার সঞ্চার হয়েছিল, তবুও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় আলোচনা বর্তমানে স্থবির অবস্থায় রয়েছে।