ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।
বিদেশে চাকরির প্রলোভনে পড়ে ঝিনাইদহের একাধিক যুবক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কম্বোডিয়ায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে এমন ৯ যুবকের পরিবার এখন শোক ও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাঁচজন নারী জানান, একটি আদম পাচারকারী চক্র তাদের সন্তান ও স্বামীদের থাইল্যান্ডে ভালো চাকরির আশ্বাস দিয়ে নিয়ে গিয়ে কম্বোডিয়ায় এক কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। সেখানে তাদের প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে হালিমা খাতুন নামের এক মা জানান, তার ছেলে শাহীনসহ আরও অন্তত আটজন যুবককে এইভাবে প্রতারিত করা হয়েছে। ওই চক্রের সদস্যরা জনপ্রতি ৭ লাখ টাকা করে মোট ৫৬ লাখ টাকা আদায় করেছেন।
হরিণাকুন্ডুর কুয়েতপ্রবাসী আলতাফ হোসেনের স্ত্রী অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের ফজলুল করিম ফয়জুল, তার ছেলে ফয়সাল আহমেদ, স্ত্রী জাহানারা খাতুন ও পুত্রবধূ তারানা হক রথীসহ কয়েকজন এলাকার বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন এবং এরপর গা ঢাকা দিয়েছেন।
নাজিব ও সবুজ নামে দুই ভুক্তভোগী ফোনে জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরির প্রলোভনে তারা ঋণ নিয়ে ফয়জুলদের টাকা দেন। কিন্তু শেষমেশ তাদের কম্বোডিয়ায় নিয়ে গিয়ে একটি কোম্পানিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বর্তমানে তারা কষ্টকর জীবনযাপন করছেন এবং ঋণের কিস্তি দিতেও পারছেন না।
চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও তারা এখনো মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারগুলো। প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ব্যবহার করে সবকিছু ম্যানেজ করছে বলেও দাবি তাদের।
এদিকে, পরিবারগুলো এখন সন্তানদের ফেরত পাওয়ার দাবি জানাচ্ছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।