আলমডাঙ্গা সংবাদদাতা।
ইতালি যাওয়ার আশায় লিবিয়ায় পাড়ি জমিয়ে দালাল ও দস্যুদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার যুবক জুনায়েদ হাসান প্লাবন। দালালদের হাতে নির্মম নির্যাতনের পর পরিবারের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
ঘটনার পর নিহতের বোন বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন, যা এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে আলমডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরিবার জানায়, প্রায় ৪২ লাখ টাকা পরিশোধ করার পরও দালাল চক্র তাকে খুন করে। এমনকি ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মরদেহও দেখানো হয়।
২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্লাবন দালালের মাধ্যমে বিদেশ যাত্রা শুরু করেন। পরিকল্পনা ছিল ইতালি যাওয়ার, কিন্তু তাকে নেওয়া হয় লিবিয়ায়, যেখানে অজ্ঞাত একটি স্থানে ‘গেম ঘরে’ তাকে আটকে রেখে চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
এই চক্রের সঙ্গে জড়িত হিসেবে নাম উঠে এসেছে আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের জান্টু মালিথার ছেলে সাগর এবং তার চাচাতো ভাই আহমেদ জিমের। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয়ে প্রভাবশালীদের সহায়তা নিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।
এখনও লিবিয়ার একই বন্দিশালায় আটকে আছেন আরও ১৫ জন বাংলাদেশি যুবক। স্বজনরা মরদেহ দেশে ফেরত আনার পাশাপাশি বাকিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঘটনার পর অভিযুক্তদের পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং মরদেহ ফেরত আনতে আইনি প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।