বেনাপোল প্রতিনিধি।
যশোরের বেনাপোল সীমান্তের রঘুনাথপুর মাঠ ও পাশের একটি গাছ থেকে শনিবার সকালে এক স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না।
নিহত স্বামী মনিরুজ্জামানের মরদেহ বাড়ির পাশের একটি আমড়া গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্যদিকে স্ত্রী’র মরদেহ পাওয়া গেছে মাঠের মধ্যে, যেখানে শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রীকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে।
নিহতদের একজন, মনিরুজ্জামানের বোন ফাতেমা জানান, তিনি ভাইয়ের সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে দেখতে শুক্রবার রাতে তাদের বাড়িতে যান। রাতে ভাই ও ভাবি ঘরের মেঝেতে এবং তিনি খাটে ঘুমান। সকালে ঘরে তাদের না পেয়ে বাইরে খোঁজ করেন এবং দেখতে পান ভাইয়ের মরদেহ গাছে ঝুলছে। কিছুক্ষণ পর জানতে পারেন ভাবির মরদেহ মাঠে পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, রাতে কোনো ধরনের পারিবারিক অশান্তি ছিল না যা থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। স্বজনেরা এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক শোক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক রাশেদুজ্জামান জানিয়েছেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা রিপোর্ট ছাড়া বলা যাচ্ছে না।