নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।
সিলেট থেকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে একাদশ শ্রেণির এক কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। রোববার রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বাসচালক শাহ সাব্বির মিয়াকে আটক করা হয় এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা। সে রাজধানীর ফার্মগেটের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
রোববার ঢাকার ফার্মগেট থেকে বিলাশ পরিবহণের একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন কিশোরীটি। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও তিনি ঘুমিয়ে পড়লে বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়। পরে সিলেট থেকে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাসে করে নবীগঞ্জ হয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।
যাত্রাপথে বিভিন্ন স্টপেজে যাত্রীরা নেমে যাওয়ায় বাসটি শেরপুর এলাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়ে এবং ওই কিশোরী একা হয়ে যান। এরপর বাসের হেলপার লিটন মিয়া এবং পরে চালক শাহ সাব্বির মিয়া তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে কিশোরী চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন। পরে ছালামতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাসচালককে আটক করা হয়। অভিযুক্ত হেলপার লিটন মিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বাস থেকে পালিয়ে যান।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, “স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাসচালককে আটক করেছে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।