কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গ্রাম্য সালিশের রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এক শিশুর ওপর ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনায় ১২ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হার মানলো ১৪ বছরের হোসেইন। বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
হোসেইন বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে এবং শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে বিষ খাওয়ানো হয় এবং অণ্ডকোষে ঢেলে দেওয়া হয় এসিড।
হাসপাতালের মেডিসিন কনসালট্যান্ট (আইসিইউ) ডা. অরূপ কুমার রায় জানান, বিষক্রিয়ায় তার গলা ফুলে গিয়েছিল এবং সে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। এসিডে তার অণ্ডকোষ সম্পূর্ণভাবে ঝলসে গিয়েছিল।
ঘটনার সূত্রপাত দুই মাস আগে, যখন একই গ্রামের মইনুল হোসেনের মুদি দোকানে চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত হয় সাইমুন। গ্রাম্য সালিশে বিচারক আবু তাহের সাইমুনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর থেকে ক্ষুব্ধ হয় সাইমুন ও তার ভাই আলাউদ্দিন।
৩১ মে স্কুল ছুটির পর রাস্তা থেকে ডেকে নেওয়া হয় হোসেইনকে। তার বাবার সালিশের প্রতিশোধ নিতে এই নৃশংস হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
হোসেইনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার ও এলাকাবাসী। বাবার চোখে অশ্রু আর মায়ের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ।
এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী।