ডেস্ক নিউজ।
নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র প্রার্থী হিসেবে রাজ্য আইনপ্রণেতা জোহরান মামদানি নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে অনুষ্ঠিত প্রাইমারি ভোটে তিনি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন।
ভোট গণনার ফলাফলে দেখা যায়, মামদানি পেয়েছেন ৪৩.৫ শতাংশ ভোট, যেখানে কুমো পেয়েছেন ৩৬.৪ শতাংশ। কুইন্স, ব্রুকলিন ও ম্যানহাটনের বিভিন্ন এলাকায় মামদানি জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেও কুমো কিছুটা এগিয়ে ছিলেন ব্রঙ্কস ও স্টেটেন আইল্যান্ডে।
২৫ জুন সকালে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মামদানি বলেন, “নেলসন ম্যান্ডেলার ভাষায় বলতে গেলে—যেকোনো কাজই সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তা অসম্ভব মনে হয়। আমাদের প্রথম কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং তোমরাই এটি করেছ।”
তবে চূড়ান্ত নির্বাচনের পথ এখনও বাকি। মামদানিকে লড়তে হবে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের প্রার্থীর বিপক্ষে। যদিও নিউইয়র্কের মতো উদারপন্থী শহরে সাধারণত ডেমোক্রেটিক প্রার্থীই বিজয়ী হন, তাই অনেকেই মামদানির এই জয়কে কার্যত চূড়ান্ত হিসেবেই দেখছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মামদানির বিজয়কে ‘আধুনিক নিউইয়র্ক রাজনীতির বড় চমক’ হিসেবে দেখছেন। কারণ, তিনি তুলনামূলকভাবে অপরিচিত মুখ হয়েও প্রাইমারিতে জয় পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামলে মামদানি ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ পরিচয়ে জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি লাভ করেন।
তাঁর উত্থান কংগ্রেস সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের গল্পের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ওকাসিও-কর্টেজও একসময় অপ্রত্যাশিতভাবে জয়ী হয়ে মার্কিন রাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মামদানির এই অগ্রগতি দেশজুড়ে তরুণ প্রগতিশীল রাজনীতিকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হতে পারে। কুমোর পেছনে বিল ক্লিনটনের মতো প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সমর্থন এবং অর্থায়ন সত্ত্বেও মামদানির গ্রাসরুট জনপ্রিয়তা নির্বাচনে বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।