কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ই বাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিন সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব, এ নিয়ে মোট আটজন গ্রেপ্তার হলেন।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, মোবাইল চুরির ঘটনায় গ্রাম্য সালিস অমান্য করে থানায় মামলা দায়েরের জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মেম্বার-চেয়ারম্যানসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র মা রোকসানা আক্তার রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া এবং ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালের ইন্ধন ছিল বলে র্যাব জানিয়েছে। মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামে এক তরুণকে মারধরের পর তার বাবা থানায় অভিযোগ করেন।
র্যাব বলছে, এই অভিযোগের জেরেই ২ জুলাই রাতে রুবি আক্তারের পরিবারকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করা হয় এবং ৩ জুলাই সকালে শতাধিক ব্যক্তি তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
ঘটনাটি পরিকল্পিত উল্লেখ করে র্যাব জানায়, এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই। মুরাদনগর থানায় ৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।