ডেস্ক নিউজ।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফেনীর পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি হয়েছে। এর ফলে ফুলগাজী ও পরশুরামে মোট ১৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সেগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে ফেনী-পরশুরাম ও উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বন্যায় ফুলগাজী ও পরশুরামের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী, সিলোনিয়া ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের অন্তত ১০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ফসলি জমি, মাছের ঘের, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার অনেক এলাকাতেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের সিলোনিয়া নদীর তীরে তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চিথলিয়া ইউনিয়নের চারটি, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম এবং ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দেড়পাড়া এলাকাতেও নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবনের খবর পাওয়া গেছে।
ফেনীর আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা ও ফেনীতে এখনও ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।” তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রশাসনের একটি বিশেষ দল সার্বক্ষণিক কাজ করছে।