রাকিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী দুই দিন এই নদীগুলোর পানির সমতল আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে, তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, “আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় (বিপদসীমা) প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।”
রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী বাসিন্দা মিলন জানান, বুধবার রাত থেকে নদীর পানি অন্তত দেড় থেকে দুই ফুট বেড়েছে এবং বৃহস্পতিবার সারাদিনই পানি বাড়তে ছিল।
পাউবো কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণকক্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে সেগুলো এখনো বিপদসীমার অনেকটাই নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে এসব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা কম বলে পাউবো জানিয়েছে।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, “তিস্তার পানি বাড়ছে। পানি বিপদসীমায় পৌঁছাতে পারে। তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। অন্য নদ-নদীর পানি বাড়লেও বিপদসীমায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা নেই।”