বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জুবায়েরের আকস্মিক অপসারণের পর শিক্ষা প্রশাসনে তীব্র অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মূল সংকটের কেন্দ্রবিন্দু মনিটরিং অ্যান্ড ইভাল্যুয়েশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক কাজী আবু কাইয়ুম শিশির, যিনি গত বছরের ৪ আগস্টের ‘জুলাইবিরোধী’ মিছিলে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক ধারা—বিএনপিপন্থি, জামায়াতপন্থি ও আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তাদের একাংশ তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ওই মিছিলে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন, যাদের মধ্যে ১৮ জন এখনো বহাল রয়েছেন। শিশিরের তদন্তে ৩৫ জনের বেশি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাদের বদলির সুপারিশ পাঠানো হয়েছে এবং অন্তত ১০-১২ জনকে আগামী সপ্তাহে সরানো হতে পারে।
এদিকে শিশির দুর্নীতি তদন্তেও সক্রিয়, যা তাকে আরও বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। তার বিরুদ্ধে “শিশির ঠেকাও” কর্মসূচি চলছে, যদিও সংশ্লিষ্ট কয়েকজন পরিচালক ও নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শিশির প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করে নিরাপত্তা চেয়েছেন।
এই অস্থিরতা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডেও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে বদলির আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক শাখার এক কর্মকর্তা বদলি হয়েছেন, আর অভিযোগের মুখে রয়েছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন।