বিশেষ প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ও সন্দ্বীপ ফেরিঘাটকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক বিনিয়োগের হাব গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে এলাকা পর্যবেক্ষণ করে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সার্ভে করা হয়েছে এবং নানান উন্নয়নমূলক কাজও চলছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট পরিদর্শনে আসেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, ৫০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিরা থেকে বাঁশবাড়িয়া পর্যন্ত চার কিলোমিটারের সড়ক ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে থাকবে সুরক্ষা ওয়াল ও স্লুইচ গেট, যাতে উপকূলীয় জমিতে লবনাক্ত পানি প্রবেশ না করতে পারে। এই সড়ক দিয়ে মানুষ ও যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। উন্নয়ন কাজগুলো যেন টেকসই হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্টরা নজর রাখবেন।
ফাওজুল কবির আরও জানান, বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাটে বর্ষার ক্ষতি সংস্কার করা হয়েছে। ফেরিতে সবসময় বাস যাত্রীদের অগ্রাধিকার থাকবে। পর্যায়ক্রমে পণ্যবাহী গাড়িও চলাচল করবে। ফেরিঘাট শুধু বাঁশবাড়িয়া নয়, কতুবদিয়া, মহেশখালী, হাতিয়া অঞ্চলেও হচ্ছে, যাতে স্থানীয়রা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারেন।
উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী তানজীর আহমেদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রশান্ত তালুকদার, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সান্তু, বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম, থানার ওসি মো. মজিবুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা