বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম বেসামরিক নৌবহর ৩১ আগস্ট স্পেন থেকে যাত্রা শুরু করেছে। প্রায় ১০০টি জাহাজ ও ৪৪টি দেশের স্বেচ্ছাসেবী এতে অংশ নিচ্ছেন।
প্রথম ধাপে ডজনখানেক ছোট জাহাজ চিকিৎসক, মানবিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী এবং জরুরি সহায়তা সামগ্রী নিয়ে সমুদ্রপথে রওনা হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর তারা তিউনিসিয়ায় দ্বিতীয় বহরে যোগ দেবে। আয়োজকরা বলছেন, এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবিক সমুদ্র মিশন, যা কেবল সহায়তা নয়, বরং গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করছে।
নৌবহরটি চারটি আন্তর্জাতিক কোয়ালিশন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে—গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন, মাগরিব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা। অংশগ্রহণকারীরা কোনো সরকার বা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না; বরং তারা চিকিৎসক, শিল্পী, ধর্মীয় নেতা, আইনজীবী ও মানবিক কর্মী হিসেবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয়েছেন।
স্টিয়ারিং কমিটিতে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ, ইতিহাসবিদ ক্লিয়োনিকি আলেক্সোপোলু, মানবাধিকারকর্মী ইয়াসেমিন আকার, পরিবেশবিদ থিয়াগো অবিলা, রাজনৈতিক বিজ্ঞানী মেলানি শুইৎজার, ফিজিসিস্ট মারিয়া এলেনা ডেলিয়া, প্যালেস্টাইনি অ্যাক্টিভিস্ট সাইফ আবুকেশেক এবং মানবিক সহায়ক মুহাম্মদ নাদির আল-নুরি।
প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করতে বহরের ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৭ সালের পর থেকে ইসরায়েল গাজার আকাশসীমা ও জলসীমা নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে স্থল ও আকাশপথ বন্ধ থাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সমুদ্রপথই একমাত্র বিকল্প বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।