যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গাজার মানবিক সংকটকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পক্ষে মন্তব্য করেছেন। ওবামার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষকে এমন একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে যেখানে একটি নিরাপদ ইসরায়েল থাকবে এবং একই সঙ্গে একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ও স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে তিনি গাজার পরিস্থিতিকে কঠোর সমালোচনার ভাষায় উল্লেখ করেন এবং শিশুদের অনাহারে রাখা যাবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন; এসব মন্তব্য তিনি করেছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রেক্ষাপটে।
ডাবলিনের একটি অনুষ্ঠানে ওবামা বলেছেন, “গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলে তাকে আরও গুঁড়িয়ে দেয়ার কোনো সামরিক যুক্তি নেই।” তিনি সহিংসতায় সরাসরি যুক্ত নয় এমন তৃতীয় পক্ষগুলোকে এখনই এগিয়ে এসে মানবিক অবস্থা রোধে কথা বলার আহ্বান জানান। এছাড়া ওবামা বলেন, তিনি ইসরায়েলের সব নীতির সঙ্গে একমত নন; এ কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন না।
গতকালের অধিবেশনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বক্তব্য শুরুর আগেই অনেক দেশের প্রতিনিধি প্রতিবাদের সূচনায় কক্ষ বর্জন করেন; সংবাদে বলা হয়েছে নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতিকে তীব্রভাবে প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখেছেন।
ওবামা আগেই গাজায় ‘প্রতিরোধযোগ্য’ দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে গাজার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছাতে ‘অনুমতি দিতে হবে’। তিনি একথাও বলছেন—বেসামরিক জনগণের থেকে খাদ্য ও পানি দূরে রাখার কোনো যুক্তি নেই।
(শেষ অংশে: ঘটনা সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিকতা বা ভবিষ্যৎ বিবেচনা সংক্ষেপে) ওবামার মন্তব্যগুলো আন্তর্জাতিকভাবে গাজার মানবিক অবস্থা ও অঞ্চলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চলমান বিতর্ককে নতুন করে তীব্র করেছে; একই সঙ্গে নিউইয়র্কে সাধারণ পরিষদের মঞ্চে উত্তেজনা ও কূটনৈতিক পাল্টাপাল্টি বাড়িয়েও তুলেছে।