গ্রামের নাম ‘বারফা’ । ছোট্ট এই গ্রামের লোকসংখ্যা মাত্র ১২ শ’ জন বসতির গ্রামটিতে ভোটার রয়েছে ৭ শ’ জন ভোটার।
গ্রামটির অবস্থান ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের বারোবাজার ইউনিয়নে। কৃষিই গ্রামের অধিকাংশ মানুষের পেশা । সারাটা দিনই তাদের কেটে যায় মাঠে ক্ষেত-খামারের কাজে।
অথচ নিরীহ এসব মানুষ আজ মামলার ভয়ে ঘর ছাড়া। গ্রামের প্রায় ৩ শ’ নারী-পুরূষের নামে ৩৫ টি মামলা করেছে ওই গ্রামেরই এক বিত্তশালী পরিবার। গ্রেফতার এড়াতে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জানা গেছে, মোস্তফা কামাল সুমন ও শামছুর রহমান নামের সুদে কারবারী দুই ভাই বাবা আফসার বিশ্বাস থেকে প্রাপ্ত মামলার অভিজ্ঞতা নিয়ে গ্রামের মানুষের নামে একের পর এক মামলা করে চলেছেন।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে মামলার বিষয়টি জানান ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে এসময় ওই গ্রামের নারী-পুরুষ প্রতিবাদে জুতা ও ঝাড়ু মিছিলও করেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম খোকনসংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, শামছুর রহমান এলাকায় একজন চিহ্নিত প্রতারক ও মামলাবাজ। তার প্রতারণার শিকার গ্রামের অধিকাংশ মানুষ।
তিনি আরও জানান, প্রতারক শামছুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার বাবার নাম না থাকলেও বাবা কে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে সুবিধা নিচ্ছে। এছাড়া গ্রামের নির্মান শ্রমিক রুবেল হোসেনের বাবার অভাবের কারনে নেয়া ৫ হাজার টাকার সুদ পরিষোধের পরেও শেষ সম্বল ১৬ শতক জিমি লিখে নেয় প্রতারক শামছু।
অভিযোগের বিষয় জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি ।তবে তার ভাই মোস্তফা কামাল সুমন মামলার বিষয় স্বীকার করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামের দরিদ্র আব্দুল আজিজ বিশ্বাস, হযরত মণ্ডল, নজরুল বিশ্বাস, ইকবাল মণ্ডল, নজরুল মণ্ডলসহ আরও অনেকে ।
কালীগঞ্জ থানার থানায় নতুন যোগদান করা ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে জেনেছি গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে থানায় বেশ কিছু মামলা হওয়ার পর থানায় আর কোনো মামলা নেওয়া হয়নি। কোর্টে তারা কোনো মামলা করেছে কিনা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।